প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৭ পিএম
সংগৃহীত ছবি
এডগার ডাভিডসের গল্পটা কাতালান লোক-কাহিনীরই এক অংশ। ২০০৪ সালের কথা, সেবার লিগে খুব একটা ভালো অবস্থানে ছিল না বার্সেলোনা। মৌসুমের মাঝামাঝি সময় পরে দলটি ছিল টেবিলের সাতে। তার চেয়েও বড় কথা চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান ছিল ১৫ পয়েন্টের। শিরোপার দৌড়ে তখন বার্সেলোনাকে গোনায় ধরেনি কেউ, না ধরাটাই স্বাভাবিক। ওই সময়ে বার্সায় আসলেন একজন ডাচ মিডফিল্ডার। যার প্রভাবে রাতারাতি বদলে যায় বার্সেলোনা।
এডগার ডাভিডসের বয়স তখন ৩০। জুভেন্টাসের হয়ে খেলছেন তিনি। যদিও ইতালিয়ান জায়ান্টদের দলে তার প্রয়োজনীয় ছিল সামান্যই। সে কারণে ছয় মাসের লোন চুক্তিতে তাকে পায় বার্সেলোনা। বার্সা সভাপতি জোয়ান লাপোর্তার প্রথম চুক্তি ছিল এটিই। ডাভিডসের আগমনের পর ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে জয় পায় স্পেনের দলটি। যদিও ওই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে পেরে ওঠেনি বার্সা। তবে তারা মৌসুম শেষ করেছিল পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থেকে। যেখানে রিয়াল ছিল চারে। ওই বছর এডগার দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারলেও বার্সায় একটা নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। যার শুরুটা হয় রোনালদিনহোর তেজ দিয়ে, আর শেষ হয় লিওনেল মেসির বিদায়ে!
প্রায় ১৯ বছর পর সেই এডগার ডাভিডসের গল্পের পুনরাবৃত্তি করাতে চায় বার্সেলোনা। এমন কথা বলেছেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট স্বয়ং লাপোর্তাই। সবার সামনেই বলেছেন যে তার দল অবিশ্বাস্য কিছু চুক্তির সন্ধানে রয়েছে, ‘এই মৌসুমের জন্য কাউকে দলে ভিড়াতে চাই। সেটা অবশ্যই লোন চুক্তিতে হবে। যেমনটা ১৯ বছর আগে ডাভিডসকে দলে ভিড়িয়েছিলাম।’
এদিকে ১৮ ম্যাচ শেষে ৩৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে বার্সেলোনা। টেবিলের থাকা দলটির সঙ্গে রিয়ালের পয়েন্ট ব্যবধান ১০। যদিও বার্সার চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে লিগ শিরোপা ধরে রাখতে হলে এখন থেকে কঠিন সময়ই অপেক্ষা করছে বার্সার সামনে। সেটি করতে হলে দলে আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। কিন্তু একাধিক সমস্যায় জর্জরিত থাকা দলটি কতটুকু কাটিয়ে উঠতে পারবে সেটিই দেখার বিষয়। কেননা নতুন কোনো খেলোয়াড়কে এই মুহূর্তে চুক্তিবদ্ধ করতে চাইলে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সেটি এখন তাদের হাতে নেই। তবে ধারে কোনো খেলোয়াড়কে দলে ভিড়াতে পারে তারা।