শীতকালীন দলবদল
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫২ পিএম
শুরু হয়েছে শীতকালীন দলবদল। ২০২৪ সালের জুনে অনেক ফুটবলারের চুক্তির মেয়াদ শেষে হয়ে যাবেন ফ্রি এজেন্ট। ফলে কিলিয়ান এমবাপে-রাফায়েল ভারানে এবং অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার মতো তারকাদের দিকে পাখির চোখ করেছে ক্লাবগুলো। এসব তারকা চাইলে এখনই চুক্তি নবায়ন কিংবা নতুন কোনো ঠিকানায় নাম লেখাতে পারেন।
কিলিয়ান এমবাপে (পিএসজি)
২০২১ সালে গ্রীষ্মকালীন দলবদলের পর কিলিয়ান এমবাপেকে কিনতে প্রায় প্রতি মৌসুমে চেষ্টা করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেসব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। নতুন মৌসুমের দলবদলেও একই দৃশ্যপট। এবারও ফ্রান্স তারকার সঙ্গে বেশ জোরসে আলোচনা চলছে। শোনা যাচ্ছে, রিয়ালের নতুন প্রস্তাবে এমবাপের জন্য থাকছে দারুণ সব সুযোগ-সুবিধা। দেখার বিষয়, রিয়ালের এবারের চেষ্টাও সফলতার মুখ দেখে কি না!
ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছেÑ হয়তো এবারই, নয়তো আর কখনোই এমবাপের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসবে না লস ব্লাঙ্কোসরা।
এবারও রিয়াল-এমবাপের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পিএসজি। এবার ফরাসি ক্লাবের জন্য কাজটা সহজ হবে না। চব্বিশের জুনেই প্যারিস সেন্ট জার্মেইর সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে এমবাপের। চাইলেই যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ফ্রান্স সেনসেশন। আর দলের নির্ভরযোগ্য তারকার জন্য যেকোনো চমক দেখাতে পারেন নাসের আল খেলাইপি। গুঞ্জন উঠেছে, লিভারপুলও এমবাপেকে পেতে লবিং শুরু করেছে।
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (বেনফিকা)
বয়স ৩৭। হয়তো এ কারণেই নিজেকে গুটিয়ে ফেলছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এ বছরের কোপা আমেরিকার পর সাদা-আকাশি জার্সি আলমারিতে তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বেনফিকার সঙ্গেও তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তিনি এখন আর ক্লাবটির প্রধান খেলোয়াড়ও নন। ফলে তার সঙ্গে বেনফিকার যে নতুন চুক্তি হচ্ছে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রি এজেন্ট হিসেবে মৌসুম শেষ হচ্ছে ডি মারিয়ার।
কোথায় যাচ্ছেন ডি মারিয়া, এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলাবলি হচ্ছে। এবার আর সৌদি প্রো লিগ থেকে অফার এলে ফিরিয়ে দেবেন না ডি মারিয়া। এমনও হতে পারে বেনফিকা আর্জেন্টাইন উইঙ্গারকে নিয়ে নতুন কোনো চমক দেবে।
রাফায়েল ভারানে (ম্যানইউ)
কোচ টেন হাগের সঙ্গে তার শীতলযুদ্ধ। একে তো চোট তার ওপর ম্যাড়মেড়ে পারফরম্যান্স। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে মরিয়া ফরাসি ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে। ম্যানইউ থেকে তিনি রিয়াল মাদ্রিদে ফিরতে চান। লস ব্লাঙ্কোসরাও আগ্রহী ভারানেকে ফেরাতে। আলবা ও মিলিতাওয়ের ইনজুরিতে ক্লাবটি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। বায়ার্ন মিউনিখও ডি লিখটের সঙ্গে বদল করতে চায় ভারানেকে।
৩১ বর্ষী ফ্রান্সের এই সেন্টারব্যাক অন্তত আরও কয়েক বছর ইউরোপিয়ান ফুটবলে রাজত্ব করবেন। এরপর না হয় সৌদির অর্থে গা ভাসাতে পারেন।
থিয়াগো আলকানতারা (লিভারপুল)
চোট তার ক্যারিয়ার থামিয়ে দিতে মরিয়া। চাইলেও নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন না থিয়াগো আলকানতারা। এখনও প্রায় এক বছর ধরে চোট নিয়ে মাঠের বাইরে। আগামী জুনে ‘অল রেড’দের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের। প্রশ্ন উঠেছে ইয়ুর্গেন ক্লপ তাকে নতুন চুক্তিতে রাখবেন নাকি মুক্ত করে দেবেন। এরই মধ্যে আলকানতারার বার্সেলোনায় ফিরে আসারও জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
ডি লিখট (বার্য়ান মিউনিখ) ও জর্জিনিও (আর্সেনাল)
জানুয়ারিতে ক্লাব ছাড়তে চান ডাচ ডিফেন্ডার ডি লিখট। বায়ার্ন ছেড়ে সাবেক গুরু টেন হাগের ছাতার নিচে ফিরতে মরিয়া তিনি। অন্যদিকে আর্সেনাল ছাড়তে চাচ্ছেন জর্জিনিও।
কয়েক দিন আগেও তাকে সময়ের সেরা মিডফিল্ডার বলা হতো। গত জানুয়ারিতে চেলসি থেকে আর্সেনালে আসেন। ‘গানার’দের হয়ে নিজের ছাপও রাখেন। তবে চলতি মৌসুমে গুরুত্ব হারিয়েছেন। তাই চুক্তি শেষ হওয়ার পর নতুন কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে মরিয়া জর্জিনিও।