প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩৭ পিএম
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩৯ পিএম
ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের প্রধান কার্যালয়
নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় পড়েছিল ব্রাজিলের ফুটবল। ফিফা এবং কনমেবল হুমকিও দিয়েছিল। উচ্চ আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছে বিশ্বকাপ ও দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা দুটি। তাই নিষেধাজ্ঞার ভয় কেটে গেছে।
ফিফার আইনি বিভাগের পরিচালক এমিলিও গার্সিয়া ব্রাজিলের নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, এদনালদো রদ্রিগেজ সিবিএফ সভাপতি পদ ফিরে পাওয়ায় ব্রাজিলের নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা নেই।
এমিলিও গার্সিয়া এ বিষয়ে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের (উচ্চ আদালত) সিদ্ধান্তে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এদনালদোকে সভাপতি পদে পুনর্বহাল করেছে। আগের পথে অর্থাৎ ব্রাজিল যেভাবে সভাপতি নির্বাচন করে, সেই পথে ফিরতে পেরে আমরা আনন্দিত। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে ছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবল। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর সেই সম্ভাবনা আর রইল না।’
সিবিএফ সভাপতি এদনালদো পাশে থাকার জন্য ফিফা ও কনমেবলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, ‘এটাই সেই মুহূর্ত, যখন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরল। সূচি অনুযায়ী সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। এখন থেকে আমরা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের উন্নতিতে মনোনিবেশ করতে চাই। আমি স্বচ্ছভাবে নির্বাচিত হয়েছি। যখন স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হয় তখনই জিতে যায় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল। ব্রাজিলের ক্লাব ও জাতীয় দল এখন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।’
কদিন আগে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এনদালদো রদ্রিগেসকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল দেশটির নিম্ন আদালত। অন্তর্বর্তীকালীন একজন সভাপতিও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সিবিএফের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্কের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আদালত। তাতেই নড়েচড়ে বসেছিল ফিফা। এমনকি ব্রাজিলকে চিঠিও পাঠিয়েছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা জেগেছিল দেশটির ওপর। তবে আশার খবর হচ্ছে রদ্রিগেসের পদ ফিরিয়ে দেওয়ার রায় দিয়েছে দেশটির উচ্চ আদালত। নিষেধাজ্ঞার যে শঙ্কা ছিল তা কেটে যায়। ফিফা এই বিষয়টাই নিশ্চিত করেছে।
ফিফা ও দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল সংস্থার (কনমবেল) নির্বাহীরা বৈঠকে বসার ঠিক চার দিন আগেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনে ব্রাজিলের উচ্চ আদালত। এমনটা না হলে নিষেধাজ্ঞায় পড়ার সম্ভাবনা ছিল ব্রাজিলের। এতে করে প্যারিসে অলিম্পিকেও হয়তো দেখা যেতো না ব্রাজিলকে। যে কারণে তড়িঘড়ি করেই পরিবর্তন আনা হয়েছে রায়ে।