প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৩০ এএম
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট টিম
দারুণ কিছুর প্রত্যাশা নিয়েই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ফল অশ্বডিম্ব! তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে শান মাসুদদের। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এ নিয়ে টানা ১৭ টেস্ট হারল পাকিস্তান।
অজিদের ডেরায় বাবর আজম-শাহিন শাহ আফ্রিদিদের যখন এই অবস্থা, তখন ক্যাঙ্গারুর দেশ সফরে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একুশ শতকে যে দেশটিতে কোনো জয়ের দেখাই পায়নি ক্যারিবিয়ানরা। ২০০০ সাল থেকে এ যাবত অস্ট্রেলিয়ায় ১৬টি টেস্ট খেলেছে ক্যারিবিয়ানরা। তাদের সাফল্য বলতে দুটি ড্র।
পাকিস্তান তাদের দলের তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে যেখানে খাবি খেয়ে এসেছে। সেই অস্ট্রেলিয়ায় আছে এখন উইন্ডিজ। যাদের আবার স্টার ক্রিকেটাররা নিয়মিত নন লাল বলের ক্রিকেটে। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ কি না ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে খেলবে টেস্টের বিশ্ব শিরোপাধারীদের বিরুদ্ধে।
আসন্ন এই সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের কী পরিমাণ নাস্তানাবুদ হতে হবে, সেটা ভেবেই নাকি গা কাঁটা দিয়ে উঠছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা জেফ ডুজনের। বিশ্ব ক্রিকেটে দোর্দণ্ড প্রতাপ বিস্তার করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এ তারকার কাছে পুরো ব্যাপারটা যেন- এক পাল ভেড়াকে পাঠানো হয়েছে কসাইখানায়।
দৈনিক জ্যামাইকা গ্লিনারকে অস্ট্রেলিয়া সফরে ক্যারিবীয় ক্রিকেটার দুর্দশার আশঙ্কার কথা জানিয়ে ৮১টি টেস্ট খেলা ডুজন বলেন, ‘ভেড়ার পালকে কসাইখানায় পাঠানোর সঙ্গেই তুলনা চলে ব্যাপারটার। কোনো দুর্বল দলের বিপক্ষে এমন তরুণ একটা দল পাঠালে কোনো ক্ষতি ছিল না। কিন্তু এমন অভিজ্ঞ, প্রতিষ্ঠিত ও শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সাতজনকে নিয়ে গিয়ে খুব বেশি কিছু অর্জিত হবে বলে তো মনে হয় না।’
অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া ক্রেইগ ব্রাফেটের দলের সাতজনের তো ক্রিকেটের এলিট সংস্করণে এখনও অভিষেকই হয়নি। এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য বিব্রতকর বলেই মনে করেন ডুজন, ‘এটা তো বিব্রতকর ঘটনা, অস্ট্রেলিয়া তো আমাদের মতো এমন পরিস্থিতিতে পড়ে না। হয়তো তাদের খেলোয়াড়রা বেশি দেশপ্রেমিক।’