× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মিরপুরে দিন-রাতের তফাত

হেলাল নিরব

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:০৯ পিএম

আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩২ পিএম

ঢাকা পর্বে রহস্যময় আচরণ করেছিল মিরপুরের উইকেট    ছবি: রংপুর রাইডার্স

ঢাকা পর্বে রহস্যময় আচরণ করেছিল মিরপুরের উইকেট ছবি: রংপুর রাইডার্স

নুরুল হাসান সোহান কালক্ষেপণ করেননি, টস জিতেই ম্যাচ রেফারিকে জানিয়ে দেন ‘আগে ফিল্ডিং করবেন।’ গতকাল মঙ্গলবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুলই প্রথম কেউ নন! বিপিএলে এখন পর্যন্ত সবকটি ম্যাচে টস-ভাগ্য যাদের পক্ষে গেছে, তারাই পরে ব্যাটিং করেছে এবং ম্যাচটাও জিতেছে। ঢাকা পর্বে প্রকট ছিল আরেকটি বিষয়। দিনের শুরুর খেলায় রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয়েছে ব্যাটারদের। দিনের ঠিক উল্টো ছিল রাতের উইকেটের আচরণ। রান উৎসবে মাতছেন ব্যাটাররা। 

দিনের বেলায় বোলিংবান্ধব উইকেট রাতের ম্যাচে আমূল বদলে হয়ে উঠছে ব্যাটিংবান্ধব। উইকেটের এই দিমুখী আচরণের জন্য কুয়াশার কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের দ্রোনাচার্য খ্যাত কোচ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম। ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচের সমার্থক হয়ে ওঠা নাজমুল ফাহিমের কথায়, উইকেটের এমন আচরণের পেছনে মূল কারণ কুয়াশা। তবে ডিউ ফ্যাক্টরকেই সম্পূর্ণ দায় দিচ্ছেন না তিনি। দোষ দেখছেন ব্যাটারদের স্কিলের এবং দলগুলোর পরিকল্পনারও। মিরপুর পর্বে টানা দুই হারে শেষ করা সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজার কণ্ঠেও ছিল একই সুর, ‘উইকেট ঠিক আছে, আমরাই রান করতে পারিনি।’

দিনে-রাতে মিরপুরের উইকেটের দুই রকম আচরণের শুরু প্রথম ম্যাচ থেকেই। এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, দিনের খেলায় সর্বোচ্চ রান উঠেছে ১৪৩, সর্বনিম্ন ১২০। রাতের ক্ষেত্রে যা গড়ে দেড়শ রানের কাছাকাছি। উইকেটের এমন দ্বিমুখী আচরণের পেছনে দায় কি শুধু আবহাওয়ার? কুয়াশার প্রভাব আছে তবে দলগুলোর পরিকল্পনার ঘাটতিও দেখছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ‘বেশ কয়েকটা ম্যাচে দেখলাম টস বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা গেছে, যারা রান তাড়া করছে তারাই জিতে গেছে। টসের প্রভাব বেশ আছে। তবে উইকেটে কত রান টার্গেট করে ব্যাটিং করতে হবে, তা বোধহয় অনেক দল বুঝতেই পারছে না। কেউ কেউ বড় টার্গেট নিয়ে খেলে এলোমেলো ব্যাটিং করে উইকেট হারাচ্ছে এবং কম রানেই আটকে যাচ্ছে। পরে যারা ব্যাটিং করছে তারা মোটামুটি সহজভাবেই রান তাড়ায় জিতে যাচ্ছে। ভালো বলব না, তবে যারা শেষে ব্যাটিং করছে তারাই জিতছে।’

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম সিলেটের বিপক্ষে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেও উইকেটের রহস্যময় আচরণ নিয়ে বলেছেন, ‘এখানে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। সত্যি বলতে আমিও এই পিচের আচরণ সম্পর্কে বলতে পারব না। প্রতিবার এটি ভিন্ন আচরণ করে। এখন মনে হচ্ছে তুলনামূলক ভালো উইকেট। কিছুটা আর্দ্রতা আছে। প্রথম কয়েক ওভার গুরুত্বপূর্ণ।’

রহস্যময় হলেও ব্যাটিংবান্ধব পিচের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন মাশরাফি। কিন্তু হাসান মাহমুদ বলেছেন ভিন্ন কথা। রংপুর রাইডার্স পেসারের মত, দিনের ম্যাচে মাঠের স্পিনই কাল হচ্ছে ব্যাটারদের জন্য। তবে ফাহিম স্যার অবশ্য তেমন মনে করেন না। বলেছেন, ‘স্কিলের সমস্যা আছে কিছু কিছু। তবে আমার মনে হয় স্কিলের সমস্যার চেয়ে স্কিল ম্যানেজ করাটা বেশি সমস্যা। টিম প্ল্যানটাই বোধহয় পরিষ্কার না। নির্দিষ্ট ম্যাচে, নির্দিষ্ট কন্ডিশন বা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কীভাবে খেলাটা গোছাবে অনেকেই মনে হয় এ ব্যাপারটায় খুব একটা পারদর্শী না। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুয়ায়ী অনেক দলকেই খেলতে দেখি না। সে কারণেই অনেকে কিন্তু ফেল করছে। স্কিলে কিছুটা থাকলেও প্ল্যানিংয়ে যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছে।’

গতকাল ম্যাচ হেরে সংবাদ সম্মেলনে একই কথা বলেছেন মাশরাফি। জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা দলের পরিকল্পনার বিষয়টিকেই সামনে এনেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক, জয় পেতে উইকেট পড়তে পারাটা জরুরি। যেমন আজকের (গতকাল) উইকেটে ১৭০/১৮০-এর জন্য খেললে তো হবে না। উইকেট ছিল ১৫০/১৬০-এর। ১৫০-এর জন্য খেললে জয় আসবে না। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে এত সময় পাওয়া যায় না। ব্যাটাররা বাজে ব্যাটিং করেছে। তবে উইকেট তো ম্যাটার করেই, এটা মানিয়ে নিয়েই খেলতে হবে।’

দিনের তুলনায় রাতের ম্যাচে কেন বেশি রান আসছে সেই প্রশ্নের জবাবে ফাহিমের ভাষ্য, ‘কুয়াশার প্রভাব আছে। তবে আমার মনে হয় অতটা না। রাতের খেলায় যেহেতু সাড়ে ৬টায় শুরু হয়, তখন কুয়াশাও পড়তে শুরু করে। ম্যাচের সময় বাড়তে থাকলে পরিমাণ বাড়ে। ব্যাটারদের জন্য তখন ব্যাটিং করা বোধহয় সহজ হয়। বলের তখন মুভমেন্ট কমে যায়, স্পিনারদের জন্য বল গ্রিপ করা কিছুটা কঠিন হয়। বল মোটামুটি সোজাসুজি আসে ব্যাটে এবং সে কারণেই বোধহয় ব্যাটাররা রাতে বেশি শটস খেলতে পারে। দিনে আর রাতের ম্যাচে এটাই পার্থক্য।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা