কোপা দেল রে
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫৮ এএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪২ পিএম
বার্সেলোনা-অ্যাথলেটিক বিলবাও
চোখ ছিল সেমিফাইনালে। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হলে যা হয় আর কি! কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমে গেল বার্সেলোনার অভিযাত্রা। কাতালানদের নকআউট করল অ্যাথলেটিক বিলবাও। স্যান মামেসে বিলবাও জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ৪-২ গোলে। অতিরিক্ত সময়ে দুই ভাই ইনাকি ও নিকোলস উইলিয়ামসের দুই গোলে কপাল পুড়ে বার্সার। দুর্দান্ত এ জয়ে বার্সাকে বিদায় করে কোপা দেল রে’র টিকিট কেটেছে বিলবাও।
ম্যাচটা হয়তো বিলবাওর নামেই লিখে রেখেছিলেন সৃষ্টিকর্তা। যার আভাস মেলে লড়াইয়ের প্রথম মিনিটেই। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই গর্কা গুরুজেতা দলকে লিড এনে দেন। তবে গোল হজম করে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে বার্সা। আধা ঘণ্টা পেরোতেই এবার লিড নেওয়ার উচ্ছ্বাসে মাতে কোচ জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। পোলিশ সুপারস্টার দলকে সমতায় ফেরান। আর বার্সাকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন লামিনে ইয়ামাল।
ম্যাচের বয়স ৫০ মিনিট পেরোনোর আগেই বিলবাও এবার স্কোর লেভেল করে ফেলে। স্বস্তির গোলটি উপহার দেন ওইহান সানচেট। নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এক্সট্রা টাইমে বার্সেলোনার জাল কাঁপিয়ে জয়ের স্বপ্ন বুনেন ইনাকি উইলিয়ামস (১০৫+২ মিনিটে)। আর অন্তীম মুহূর্তে (১২০+১ মিনিটে) তার ভাই নিকো উইলিয়ামসের গোলে জয়ে সিল মোহর এঁকে দেয় বিলবাও।
বল দখলে স্বভাব সুলভ খেলাই খেলেছে জাভির বার্সা। মাঠের লড়াইয়ে ছিল কেবল তাদের আধিপত্য। কিন্তু বিলবাও মাঠে নেমেছিল নিজেদের সবচেয়ে ভয়ংকর রূপটা সঙ্গী করে। গোলমুখে নেওয়া ২৭টি শটই দিচ্ছে তারই প্রমাণ।
১৬ বছরের ইয়ামাল ম্যাচে একটি রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন। টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা বনে গেছেন তিনি। এই তরুণ তুর্কিকে নিয়েই আশায় বেঁধে ছিল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
গোলের সুযোগও পেয়েছিলেন শেষ দিকে। সেটা কাজে লাগালে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলে যেতেও পারতো বার্সা। কিন্তু মিস করেন ওপেন গোলের সুযোগ। বিলবাও গোলরক্ষক জুলেন অ্যাগিরেজাবালাকে বোকা বানিয়ে পোস্ট পেয়েছিলেন ফাঁকা। দুর্ভাগ্যের নিমম পরিহাস! ইয়ামাল জালে জডাতে পারেননি বল।
গত ১৫ আসরে ১০টি শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু বার্সার এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে দুই হট ফেভারিটের বিদায় নিশ্চিত হলো।