প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪০ পিএম
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও আধিপত্য ধরে রাখল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুটা করেন লিটন দাস আর উইল জ্যাকস। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর শেষটায় তাণ্ডব চালান মঈন আলী। রান আটকে রাখার দায়িত্বে বোলিংয়েও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। তাতে রেকর্ড সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে অল্পতেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ঘরের মাঠে ৭৩ রানে হেরে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করল শুভাগত হোমের দল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে কুমিল্লা। নির্ধারিত কুড়ি ওভার শেষে দলটি স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৩৯ রান। তিন উইকেট হারিয়ে এই সংগ্রহ পায় লিটন দাসের দল। বিপিএলের ইতিহাসে এটি যৌথভাবে রেকর্ড সংগ্রহ। এর আগে ২০১৯ মৌসুমে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স। রেকর্ড লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬.৩ ওভারে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। ইনিংসের শেষ তিন বলে তিন উইকেট শিকার করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মঈন। তবে ৫৩ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছে জ্যাকস।
ডানহাতি ব্যাটার জ্যাকস এদিন শুরু থেকেই চড়াও হন চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর। লিটনের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৮৬ রান। যদিও সেখানে বড় অবদান ছিল কুমিল্লা অধিনায়কের। ৭.৫ ওভারে লিটন ৩১ বলে ৬০ রান করে আউট হন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। ৩ ছক্কার আর ৯ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান ডানহাতি এই ব্যাটার। তার আউটের পরও বিধ্বংসী ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন জ্যাকস। যদিও এ সময় তাওহীদ হৃদয় আর ব্রুক গেস্টের উইকেট হারায় কুমিল্লা। চতুর্থ উইকেটে মঈনকে সঙ্গে করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন তিনি। দুজনের এই জুটিতে ওঠে ১২৮ রান। এই রান করতে দুজনে বল মোকাবিলা করেছেন ৫৩টি। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৫৩ রান করেন মঈন। ইনিংসে ৫টি ছক্কা এবং দুটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। জ্যাকসের সেঞ্চুরির ইনিংসে আসে ১০টি ছক্কা এবং ৫টি বাউন্ডারি।
বড় লক্ষ্য ছুতে চট্টগ্রামের দরকার ছিল বড় জুটি। সেটিই গড়তে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটাররা। তিনজন ব্যাটার ত্রিশোর্ধ্ব রান করেছেন, কিন্তু কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দলটি। যে কারণে ২১ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে তানজীদ হাসানের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া জস ব্রাউন ৩৬, টম ব্রুস ১১, শাহাদাত হোসেন ১২, সৈকত আলী ৩৬ এবং শুভাগত করেন ১৯ রান।
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে এদিন বাংলাদেশি লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় তুলে নেন ৪ উইকেট। তার সমান উইকেট পেয়েছেন মঈনও। ৩.৩ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান শিকার করেন ২ উইকেট। তবে ৩ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে বেশ খরুচে ছিলেন কাটার মাস্টার।
দুর্দান্ত এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে কুমিল্লা। ৮ ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে চট্টগ্রাম। তবে কুমিল্লার চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে বন্দর নগরির দলটি। কুমিল্লার সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে এই তালিকায় সবার ওপরে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। ৮ পয়েন্ট পেয়ে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল আছে টেবিলের চারে।