বিপিএল ২০২৪
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৪ পিএম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৬ পিএম
প্রথম হাফসেঞ্চুরি তো বটেই,
দশম বিপিএলে বড় ইনিংস না খেলার ফাঁড়া কাটালেন তামিম ইকবাল। একই সঙ্গে স্পর্শ করলেন
নতুন মাইলফলক। তিনিই এখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক। সেই
সঙ্গে এই আসরে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে পেয়েছেন ছক্কার সেঞ্চুরি। বুধবার
দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে দেশসেরা এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৭১ রান। তাতে ৪ ছক্কা
এবং ৭ চারের মার। এর মধ্য দিয়ে হয়েছেন ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইলের সঙ্গী।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী
স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামার আগে ৯৯টি ছক্কা ছিল ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিমের।
রাজধানীর দলের বিপক্ষে ৪.৩ ওভারে স্পিনার আরাফাত সানির বলে প্রথম ছক্কার দেখা পান।
তাতে সেঞ্চুরি (ছক্কা) পূর্ণ হয়। ম্যাচে আরও তিনটি ছয় হাঁকিয়েছেন। ৭১ রানে যখন প্যাভিলিয়নে
ফেরেন, তখন তামিমের হারানোর চেয়ে প্রাপ্তির পাল্লাই ছিল ভারি। আলাউদ্দিন বাবুর স্লোয়ার
বল তুলে মারতে চেয়েছিলেন। ধরা পড়েন লং অফ সীমানায়।
আগের ম্যাচগুলোতে ভালো শুরু
পেয়েছিলেন তামিম। আট ম্যাচের চারটিতে পেয়েছেন ত্রিশ ছোঁয়া ইনিংস। তিনটিতে ছুঁয়েছেন
চল্লিশের ঘর। প্রতিবার ফিফটিতে পা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে নিজ শহরের মাটিতে সেই অধরা
ফিফটির দেখা পেয়েছেন।
এদিন আউট হওয়ার আগের বলেও
বাউন্ডারি মেরেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। ইনিংসের শুরুতে অবশ্য বেশ সাবধানি ছিলেন
তামিম। প্রথম চার ওভারে ১৩ বলে করেন ৬ রান। পঞ্চম ওভারে স্পিনার সানি আক্রমণে আসতেই
চকচক করে ওঠে তামিমের চোখ। বাঁহাতি স্পিনারের বলে মারেন দুটি করে চার-ছক্কা। এরপর শুধু
এগিয়েই গেছেন। সামনে যাকেই পেয়েছেন তুলোধুনো করেছেন। মাড়িয়েছেন হাতের তালুর মতো চেনা
বাইশ গজ। তামিম যতটা না দৌড়ে রান নিয়েছেন তার চেয়েও বেশি বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি
মেরেছেন। কাভার ড্রাইভের শিল্পী যতক্ষণ ছিলেন উদ্বেলিত করেছেন দর্শকদের। কবজির মোচড়ে
নিজে সুখ খুঁজেছেন। স্বস্তি দিয়েছেন দলকে। জয়ের দিনে নিজেও ‘ম্যাচসেরা’ হয়েছেন।
ছক্কার সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে
৯৭টি ইনিংস খেলতে হয়েছে তামিমকে। চূড়ায় থাকা ক্রিস গেইলের ছক্কা ১৪৩টি। ৫২টি ইনিংস
খেলে এই কীর্তি গড়েন ক্যারিবিয়ান ছক্কার রাজা।
এদিকে ছক্কার সেঞ্চুরির উচ্চতায় ওঠার অপেক্ষায় ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। ইমরুল ও মুশফিক শতক থেকে তিনটি ছয় দূরে। মাহমুদউল্লাহর চাই ৫টি ছক্কা। এ তালিকায় আছেন এনামুল হক বিজয় এবং সাকিব আল হাসান। বিজয়ের ছক্কার সংখ্যা ৮৬ এবং সাকিবের ৮৫টি।