প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৯ পিএম
শান্ত-সৌম্য
উচ্ছ্বাসহীন এমন সেঞ্চুরি উদ্যাপন বিশ্ব কমই দেখেছে। জো রুট হাসেনওনি। দুর্দান্ত এক
কাভার ড্রাইভে যখন তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেন, কেবল হেলমেট খুলে ব্যাট
উঁচিয়ে ধরেছেন।
সিরিজে
আগের দুই টেস্টে সর্বোচ্চ ২৯ রান, চার ইনিংসে ৭৭। কোনঠাসা হয়ে পড়া রুটও সে জন্য ছিলেন
নির্বাক। যা করা দরকার ব্যাট হাতে ঠিকই করেছেন। তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতেই রাঁচিতে প্রথম
দিনটা ভারতের হতে দেয়নি ইংল্যান্ড। মোহাম্মদ সিরাজ-আকাশদীপদের আগুনে বোলিংয়ের পরও ইংল্যান্ড
প্রথম দিন শেষে তুলেছে ৭ উইকেটে ৩০২ রান।
আগামীকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনে রুটের সঙ্গে ৩১ রান নিয়ে ব্যাটিং করবেন ওলি রবিনসন। রুট যেমন নিজেকে
রাঙিয়েছেন, স্বস্তি দিয়েছেন ইংল্যান্ড শিবিরেও। সাদা পোশাকে এটি তার ৩১তম সেঞ্চুরি,
ভারতের বিপক্ষে দশম। স্কাই ব্লুদের বিপক্ষে টেস্টে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি নেই আর কোনো
ব্যাটারের। ২২৯ বল লেগেছে সেঞ্চুরি পেতে। যা তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় মন্থরতম সেঞ্চুরি।
প্রথম
দিনে শ্লথ উইকেটে শুরু থেকেই সাবধানি ছিলেন ইংলিশ ব্যাটাররা। বাজ বলের বিপরীতে গিয়ে
দেখে শুনে খেলায় মন দেয় দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। ডাকেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে
চলতে ব্যর্থ হন ক্রলি। ব্যক্তিগত ১১ রানে জুরালের হাতে কট আউট হন। দলীয় ৪৭ রানে এলবিডব্লিউ
হন ওলি পেপ। তার ঠিক ১০ রানের মাথায় ক্রলি বোল্ড আউট হন। এরপর উইকেটরক্ষক ব্যাটার জনি
বেয়ারেস্টোকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান রুট। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সুইপ করতে গিয়ে বেয়ারস্টো
আউট হয়ে যান ৩৮ রানে। এতে ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিপক্ষে
১০০০ রান ও ১০০ উইকেটের ‘ডাবল’ হয় অশ্বিনের।
অধিনায়ক বেন স্টোকস থিতু হতে পারেননি। ভালো শুরু করেও যেমন পারেননি টম হার্টলি। ঠিকই রুটকে উত্তম সঙ্গ দেন বেন ফোকস। দুজন ২৬১ বলে গড়েন ১১৩ রানের জুটি। এই জুটিই ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরায়। তবে আফসোস নিয়ে ফিরতে হয় ফোকসকে। অর্ধশতক থেকে তিনি মাত্র তিন রান দূরে থেমে যান। তবে রবসনকে নেয় ইংল্যান্ডের দিনের শেষটাও হয়েছে বেশ সুন্দর। রুটের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন তিনি। ভারতের হয়ে আকাশদীপ সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট সংগ্রহ করেন।