প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৫০ পিএম
ক্রিস গেইল
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের জুড়ি মেলা ভার! তাই তো বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ক্যারিবিয়ানদের কদরটা একটু বেশি। মাঠের লড়াইয়ে ব্যাট হাতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তার প্রমাণও দিয়ে যাচ্ছেন উইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। হাল আমলে ‘বাজবল’-এর জন্য সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও। দ্রুতগতিতে রান তুলতে তারাও খেলছেন এখন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। বিশেষ করে টেস্টে ব্যাট হাতে তাদের আগ্রাসন তো আলোচনার টেবিলের অন্যতম উপজীব্য। স্বাভাবিকভাবে এখন একটি প্রশ্ন উঠতেই পারে। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট কারা খেলে? ইংল্যান্ড না ওয়েস্ট ইন্ডিজ? নাকি অন্য দল?
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কৃতিত্বটা এখন অনেকেই ইংল্যান্ডকে দিতে চান। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও এজন্য নিজেরাই কৃতিত্ব নিতে চান। রাজকোট টেস্টে ১৫১ বলে ১৫৩ রানের ইনিংস উপহার দেওয়া ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেটের কথায় সেটা স্পষ্ট, ‘আপনি যখন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের এভাবে খেলতে দেখবেন, তখন মনেই হয় তারা অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে বলে আমাদের একটু কৃতিত্ব নেওয়াই উচিত।’
তবে ক্রিস গেইল এটা মানতে নারাজ। ইউনিভার্স বস বলছেন ভিন্ন কথা। টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালার মতে, আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের কোনো কপিরাইট বা স্বত্ব কোনোটাই ইংলিশদের নেই। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তি গেইল বলছেন, তিনি ক্যারিয়ার শুরুর অনেক আগে থেকেই দেখছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বিরাজ করছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। এএফপিকে গেইল বলেন, ‘আক্রমণাত্মক ক্রিকেট অনেক বছর ধরেই আছে, এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্রিস গেইল পা রাখার আগেই।’
আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের মূল ছিল ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটেও। পূর্বসূরিদের স্তুতি গেয়ে ক্রিকেট সুপারস্টার গেইল জানালেন তেমনটাই, ‘আমাদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ভিভ রিচার্ডসের মতো খেলোয়াড় ছিলেন, যারা ভিতটা গড়ে দিয়েছেন আমাদের। ব্রায়ান লারা, তারা সব সংস্করণেই তখন আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় ছিলেন। তাদের পরিসংখ্যান দেখলে দেখবেন, কীভাবে তারা ইনিংস গড়েছেন।’
রাজেকোর্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান যশস্বী জয়সওয়াল। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ ছক্কায় ২১৪ রানের দুর্বার এক ইনিংস। সেটা দেখে ডাকেট বলেছিলেন, ইংলিশদের ব্যাটিং দেখেই প্রেরণা খুঁজে নিয়েছেন ভারতীয় এ উদ্বোধনী ব্যাটার। যদিও এমন মন্তব্যের জন্য ডাকেটের সমালোচনা হয়েছে ঢের। এখানে ডাকেটের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন গেইলও, ‘আমার মনে হয় না সে (জয়সওয়াল) এগুলো ইংল্যান্ডের কাছ থেকে শিখেছে। সে তার কোচ ও মেন্টরের (জাওয়ালা সিং) কাছে খেলার এ ধরনের উন্নতি করেছে। সে দুর্দান্ত। দেখে মনে হয়, ছেলেটি ২০ বছর ধরে খেলছে। আমি শুধু আশা করি, সে এটি ধরে রাখতে পারবে।’