বিপিএল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩৫ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪২ পিএম
কুমিল্লা-বরিশাল ম্যাচের টিকিটের জন্য মিরপুরে হাহাকার; ছবি: আবদুল্লাহ আল মাসুম
আর কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনাল। যাকে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ম্যাচ বললেও অত্যুক্তি হয় না। এমন এক ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের মনে উত্তেজনাও চরমে। এবার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বিপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই দল ফরচুন বরিশাল এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তারকা উপস্থিতি দুই দলেই প্রায় সমানে সমান। তাই জমজমাট এক ফাইনালের প্রত্যাশায় বুঁদ হয়ে আছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন।
হাইভোল্টেজ এই ম্যাচকে ঘিরে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এলাকায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ফাইনালের টিকিট পেতে এদিক সেদিক ঘুরছেন সমর্থকরা। কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট পাচ্ছেন না দর্শকরা। ফাইনালের টিকিট যেন এক কথায় সোনার হরিণ। কালোবাজারি থেকে দ্বিগুণ-তিনগুন বেশি দামে টিকিট কিনছেন সমর্থকরা। তবুও শেষ পর্যন্ত টিকিট পেয়ে খুশি তারা।
মোহাম্মদপুর থেকে আসা আসাদ শফিক নামে বরিশালের এক সমর্থক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) ছুটির দিন থাকায় খেলা দেখতে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট পায়নি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের চাহিদাও বেশি। তাই বাধ্য হয়েই কালোবাজারি থেকে ৫০০ টাকার টিকিট ১৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি।’
বিপিএলের ফাইনাল দেখতে উত্তরা থেকে পরিবার নিয়ে মিরপুরে এসেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সি পরিহিত এক দম্পতি। লিটন দাসের দল এবারও শিরোপা জিতবে বলেই বিশ্বাস তাদের, 'বরাবরের মতো এবারও কুমিল্লা ভালো পারফর্ম করছে। লিটন-হৃদয়-মোস্তাফিজ ভালো করছে। বিদেশিদের মধ্যে নারিন, রাসেল, মঈন আলীরা আছে। আশা করছি এবারও কাপ আমরাই জিতব।'
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ফাইনালের টিকিট বিক্রির কথা ছিল। এজন্য ভোর থেকেই অপেক্ষায় ছিল দর্শকরা। কিন্তু কাউন্টার থেকে যথাসময়ে টিকিট দিতে গড়িমসি করা হয়। কাউন্টার থেকে বারবার বলা হয় ‘টিকিট নেই’। এতে দর্শকরা ক্ষুদ্ধ হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অনেকেই। এরপর দর্শকদের রোষানলে পড়ে পুলিশি পাহারায় দুপুর দেড়টা নাগাদ টিকিট ছাড়তে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৫ ঘণ্টা দেরিতে কেন টিকিট ছাড়া হয়েছে এর উত্তর দিতে পারেননি নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যরাও। তবে বেশিরভাগ টিকিট কালোবাজারিতে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সমর্থকরা।
এদিকে ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে সময় যতই পার হচ্ছে মিরপুরগামী ক্রিকেট ভক্তদের ভিড় ততই বেড়ে চলেছে। সমর্থকদের চাপে সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচলেও দেখে দিয়েছে বিঘ্নতা। বিপাকে পড়েছেন স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিপনী বিতানের স্বাভাবিক কার্যক্রম। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গড়াবে বিপিএলের দশম আসরের ফাইনাল ম্যাচ। প্রথম শিরোপার সন্ধানে থাকা ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে আসরের সফলতম দল ও চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।