× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নারী লিগে অনীহা বড় ক্লাবগুলোর

রুবেল রেহান

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪ ০৩:০১ এএম

আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪ ২৩:২০ পিএম

নারী লিগে অনীহা বড় ক্লাবগুলোর

এক বছর বিরতি দিয়ে আবারও মাঠে গড়াতে যাচ্ছে নারী ফুটবল লিগ। যেটি শুরু হবে আগামী এপ্রিলে। এরই মধ্যে নয়টি দলকে লিগে অংশগ্রহণের জন্য ক্লাব লাইসেন্স দিয়েছে বাফুফে। তবে পুরুষদের ফুটবল লিগে বড় ও নামধারী ক্লাবগুলোর একটিও নেই মেয়েদের এই লিগে। যে কারণে লিগের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আশঙ্কা জেগেছে মেয়েদের দল পাওয়া নিয়েও। সেই সঙ্গে আশঙ্কাটা বাংলাদেশের নারীদের ক্লাব ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়েও।

এক যুগেরও বেশি সময় আগে নারী ফুটবল লীগের পথচলা শুরু। কিন্তু ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত নারী লিগের স্রেফ ৫টি আসর মাঠে গড়িয়েছে। প্রথম দুই আসর হয় ২০১১ ও ২০১২ সালে। সে সময় আবাহনী, মোহামেডান, শেখ জামালদের মতো বড় ক্লাবগুলো অংশ নিলেও সবশেষ তিন মৌসুমে তারা অংশগ্রহণ করেনি। এর কারণ হিসেবে বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ কোনো মন্তব্য করেননি। বিষয়টি পুরোপুরি এড়িয়ে গেছেন তিনি। অথচ একটা দেশের ফুটবল কাঠামো গড়ে ওঠে ক্লাব ফুটবলের ওপর ভিত্তি করেই। অথচ একটা দেশের ফুটবল কাঠামো গড়ে ওঠে ক্লাব ফুটবলের ওপর ভিত্তি করেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এমন একটা বিষয়ে নারী উইংয়ের প্রধান কথা না বলতে চাওয়া অবাক করার মতোই।

মেয়েদের ফুটবলে এত এত সাফল্যে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, সেই গোলাম রব্বানী ছোটন অবশ্য ক্লাব ফুটবলকে গুরুত্ব সহকারেই দেখছেন। সাবিনা, মারিয়া মান্ডা, সানজিদাদের সাবেক এই কোচ মনে করেন মেয়েদের লিগ আরও গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত, ‘সাফে আমাদের শক্ত প্রতিপক্ষ নেপাল ও ভারত। তারা টাইম টু টাইম স্ট্রং লিগ করছে। তারা আন্তর্জাতিক ম্যাচও বেশি খেলার সুযোগ পায়। সেই তুলনায় আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম পাই। আবার ঘরোয়া প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচও আমাদের মেয়েরা কম খেলে। সঠিক ধরলে আমাদের লিগই হয়েছে তিন বছর (মূলত ৫ বছর)। তার মধ্যে দুটি ক্লাবের মধ্যে কেবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এটা খেলে তো আর আন্তর্জাতিক খেলায়…।’ 

লিগকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে বাফুফের কোনো দায় দেখছেন কি না জানতে চাইলে গোলাম রব্বানী অবশ্য সেটি মনে করেন না, ‘বাফুফে সবসময়ই পদক্ষেপ নেয়। তারা চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু তাদেরও (ক্লাবগুলোর) আগ্রহ থাকতে হবে। ক্লাব লাইসেন্সেই তো আছে, যে আপনাকে বয়সভিত্তিক দল থাকতে হবে। কিন্তু সেটা কজনে মানছে।’ যেহেতেু বড় ক্লাব আসেনি, সেক্ষেত্রে দল পাওয়া নিয়ে ফুটবলাররা সংশয়ে থাকবেন এবং লিগের জৌলুস হারাবে বলেও মনে করেন বরেণ্য এই কোচ, ‘জাতীয় দলের মেয়েরা দল পাবে কি না সেটা নিয়েই তো অনিশ্চয়তা আছেই। আর জাতীয় দলের তারকা ফুটবলাররা যদি না থাকে তবে তো লিগের জৌলুস অবশ্যই হারাবে। ফুটবলাররা যা টাকা পায় তার অধিকাংশই আসতো ক্লাব থেকে। যেহেতু সেটা কমে যাওয়ার শঙ্কা দিয়েছে। আমার সময়ই দেখেছি একজন খেলোয়াড় টপ ফর্মে ছিল, কিন্তু দল পায় নাই। অটোমেটিকে ঝরে গেছে।’ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবলকে এগিয়ে নিতে হলে বড় ক্লাবগুলোর এগিয়ে আসাটা ভীষণভাবে জরুরি বলে মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার। তার কথায়, ‘মোহামেডান, আবাহনী, শেখ জামাল, আরামবাগের মতো বহুল পরিচিত ও ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলো একটা সময় লিগে দল গড়েছে। কিন্তু বহু বছরের একটা গ্যাপ থাকার কারণে হয়তো ক্লাবগুলো দূরে সরে গেছে। আমার কাছে মনে হয় বড় ক্লাবগুলোর আসা উচিত। খেলার মানোন্নয়নের জন্য, খেলোয়াড়দের মানোন্নয়নের জন্যও।’ নামকাওয়াস্তে নারীদের এই লিগ আদৌ প্রিমিয়ার লিগ কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন ডালিয়া। বলেছেন, ‘লিগের কতগুলো নিয়ম আছে, ধাপ আছে। সেগুলো পার হয়ে এসে প্রিমিয়ার লিগ খেলা উচিত। ফার্স্ট ডিভিশন, সেকেন্ড ডিভিশন কিছু খেলছেন না, হুট করে এসে একটা লিগকে প্রিমিয়ার লিগ নামে চালিয়ে দিচ্ছেন, এটা আমার কাছে মনে হয় ফর্মুলার বাইরে চলে যাওয়া। পুরুষ লিগে কি দ্বিতীয় বিভাগ, প্রথম বিভাগ না খেলে কিন্তু চট করেই প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারছে? পারছে না। এটা ফুটবলেও না ক্রিকেটেও না। তবে নারী লিগের ক্ষেত্রে এটাকে কেন প্রিমিয়ার লিগ বলে চালানো হবে? এটাকে আপনি ওপেন লিগ হিসেবে বলতে পারেন।’

মেয়েদের ফুটবল লিগে উদ্বোধনী মৌসুমে শেখ জামাল ধানমন্ডির ক্লাবের বিপক্ষে ফাইনালে হারে মোহামেডান। কিন্তু ৬ বছর বিরতির পর যখন ২০১৯ সালে এই লিগ ফের চালু হয় তখন থেকে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি আর লিগে অংশ নেয়নি। সেটির কারণ জানতে চাইলে  মোহামেডানের পরিচালক এবং ক্লাবটির ফুটবলের সেক্রেটারি আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স বলেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমরা এখনও মেয়েদের ফুটবল নিয়ে ভাবি নাই। মেয়েদের লিগ নিয়ে কোনো প্রস্তুতি নেই আমাদের। ছেলেদের ফুটবল চালাতেই আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আপাতত এটাকেই আমরা আগলে ধরে আছি। এটা তো একটা ইভেন্ট। টাকা-পয়সার ব্যাপার আছে। কমপক্ষে ৩০-৪০ লাখ বা আরো বেশি, এক কোটি টাকা লাগবে। তারপরও দেখা যাক আগামী বছর কী হয়। চেষ্টা করব আগামী বছর আসতে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা