সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪ ২০:৪৯ পিএম
এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার সাফের
ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ। কাকতালীয়ভাবে দুই ফাইনালেই নির্ধারিত সময়ে স্কোরলাইন
১-১। দুই ম্যাচেই ভারত আগে লিড নেয় পরে বাংলাদেশ সমতা আনে। গেল মাসে টাইব্রেকারে বেশ নাটকীয়তার
পর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ভাগাভাগি করেছিল দুই দল। তবে এবার অনূর্ধ্ব-১৬
নারী চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিবেশি দেশটিকে আর সুযোগ দেয়নি বাংলার নন্দিনীরা। টাইব্রেকারে
৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে শিরোপা জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ফুটবল মাঠে যেকোনো ম্যাচের টাইব্রেকারে জয়-পরাজয়
অনেকটাই নির্ভর করে গোলরক্ষকের উপর। নেপালের কাঠমুণ্ডুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের
ফাইনালেও হয়েছে সেটি। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন করতে গোলবারের নিচে
বড় অবদান রেখেছেন গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম। অনবদ্য পারফরম্যান্সে ভারতের নেয়া পাঁচ শটের
মধ্যে তিনটি বল আটকে দিয়েছেন তিনি। তারই নৈপূণ্যে ৩-২ ব্যবধানে টাইব্রেকার জিতে শিরোপা
উৎসবে মাতে বাংলাদেশের মেয়েরা।
সাফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায়
ইয়ারজান তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন এভাবে, ‘আজকে অনেক ভালো লাগতেছে। কোচকে (সাইফুল
বারী টিটু) ধন্যবাদ জানাই আমাকে এই পর্যায়ে আনার জন্য। প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ
খেলে সেরা গোলরক্ষক হয়েছি। এতে আমি খুবই আনন্দিত।’
এদিন দলকে শিরোপা এনে দেওয়ার পাশাপাশি
ইয়ারজান পেয়েছেন ব্যক্তিগত সাফল্য। পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দু’টি গোল হজম করেছে।
পাশাপাশি আজকের ফাইনালে টাইব্রেকারে দুর্দান্ত সেভ করেছেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক ইয়ারজান।
সেরা গোলরক্ষক হওয়ার কৃতিত্ব কাকে দিতে চান? এমন প্রশ্নে উত্তরে কান্নাজড়িত কন্ঠে ইয়ারজান
বলেন, ‘আমার বাবা ও কোচকে দিতে চাই।’
জাতীয় নারী দলের গোলরক্ষক কোচ আরিফুর
রহমান পান্নুও প্রশংসায় জাসিয়েছেন ইয়ারজানকে, ‘আসলে আমরা কোচরা পদ্ধতি বা টেকনিক শিখিয়ে
দিতে পারি। আজকে জয়ের অবদান সম্পূর্ণ ইয়ারজানের অবদান। ওর ইচ্ছেতেই এটা হয়েছে।’
টাইব্রেকারের সময় ইয়ারজানকে অভয় দিয়েছিলেন
কোচ পান্নু, ‘টাইব্রেকারের সময় ও কান্না করছিল। আমি বলেছিলাম, ‘তুমি তোমার মতো খেল।
একটা সেভ দাও। তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে।’ সে খেলেছে এবং বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছে।
ওর জন্য শুভ কামনা।’