নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪৪ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩৬ পিএম
একটা সুযোগ অবশ্য পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ৩১ বছরের জুজু কাটানোর হাতছানি ছিল তাদের। সমতায় ফিরতে অস্ট্রেলিয়াকে ২৭৯ রানের লক্ষ্যও ছুড়েছিল। সে রান তাড়ায় আগের দিন ৭৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়েছিল সফরকারীরা। সেখান থেকেই চোয়ালবদ্ধ মানসিকতায় রোমাঞ্চকর এক জয় ছিনিয়ে এনেছে অজিরা। থ্রিলারে পরিণত হওয়া ক্রাইস্টাচার্চ টেস্টের নায়ক অ্যালেক্স ক্যারি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ২০১১ সালে হোবার্টে জয় পেয়েছিল কিউইরা’। সেদিনের ৭ রানের জয়ের পর আর কখনও জিততে পারেনি তারা। আজ একটা সুযোগ ছিল। এর জন্য ৬ উইকেট নিতে পারলেই হতো। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২০২ রান। এমন চাপের মধ্যে হেসে খেলে দলকে উদ্ধার করলেন ক্যারে। মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন শেষ পর্যন্ত। কামিন্সকে নিয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন তখন তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ৯৮ রান।
চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। কামিন্সের বাউন্ডারিতেই জয়কাব্য রচনা হয়। অজি ক্যাপ্টেন তখন চার না মেরে পরের ওভারে ক্যারিকে স্ট্রাইক দিলেই সম্ভবত তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করতে পারতেন ক্যারি। এর জন্য কিঞ্চিৎ আফসোসও থাকতে পারে অজি উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। যদিও কামিন্সের দাবি, তিনি জানতেনই না ক্যারের তখন রান কত। ম্যাচ শেষে অজি অধিনায়ক বলেছেন,‘আমি জানতামই না যে তার রান তখন ৯৮! (সেঞ্চুরির পর) সে যদি উদ্যাপন করত এবং আমি খেয়াল করলাম না—সেটি বেশ বিব্রতকর হতো।’
উইকেটের পেছনে ১০টি ক্যাচ নিয়েছেন ক্যারি। এরপর দলের বিপদের সময় ৯৮ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ম্যাচ শেষে ক্যারে জানিয়েছেন, সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই তার। দলের জয়ই তার কাছে আগে, ‘আমি এটা নিয়েই সন্তুষ্ট। আবারও স্ট্রাইকে যেতে চাইনি।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড : ১৬২ (ল্যাথাম ৩৮, হেনরি ২৯; হ্যাজলউড ৫/৩১) ও ৩৭২ (রবীন্দ্র ৮২, ল্যাথাম ৭৩, উইলিয়ামসন ৫১; কামিন্স ৪/৬২, লায়ন ৩/৪৯)
অস্ট্রেলিয়া ২৫৬ (লাবুশেন ৯০; হেনরি ৭/৬৭) ও ২৮১/৭ (ক্যারি ৯৮*, মার্শ ৮০, কামিন্স ৩২*; সিয়ার্স ৪/৯০)
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী।
সিরিজসেরা : ম্যাট হেনরি (১০১ রান ও ১৭ উইকেট)
ম্যাচসেরা : অ্যালেক্স ক্যারি (৯৮* ও ১০টি ক্যাচ)