ম্যাচ সেরা রিশাদ, সিরিজ সেরা শান্ত

ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ দল। সিলেটে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা। তবে চট্টগ্রামে প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিকরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সিরিজ জয়ের পাশাপাশি ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরার পুরস্কারও জিতেছে স্বাগতিকরা।

আজ সোমবার (১৮ মার্চ) সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের অলিখিত ফাইনালে বাংলাদেশকে জেতাতে ব্যাটে-বলে দারুণ অবদান রেখেছেন তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ আহমেদ। দলের বিপদের সময় ব্যাট করতে নেমে ১৮ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। এছাড়া ডানহাতি এই লেগি একটি উইকেটও দখল করেন।

এদিকে ম্যাচ চলাকালেই সৌম্য সরকার বাউন্ডারি লাইনে আঘাত পান। তাই কনকাশন হিসেবে তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে একাদশে সুযোগ দেন টিম ম্যানেজমেন্ট। আর দলে সুযোগ পেয়েই ৮১ বলে ৮৪ রানের ইনিংস উপহার দেন বাঁহাতি এই ওপেনার। কিন্তু গুরুত্ব বিবেচনায় তানজিদকে ইনিংসকে ছাড়িয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রিশাদ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ ভালো না গেলেও প্রথম দুই ম্যাচে ভালো করেন অধিনায়ক শান্ত। প্রথম ম্যাচে দলের বিপদে হাল ধরে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতান তিনি। খেলেন ১২২ রানের হার না মানা ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। যে কারণে সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।

সিরিজ সেরা হয়ে তানজিদ, রিশাদ, মুশফিক ও তাসকিনের প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক শান্ত,  ‘তানজিদ শুরুতে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমার মনে হয়, মুশফিক ভাই যেভাবে খেলছিলেন সেটা রিশাদকে ওই ইনিংস খেলতে সহায়তা করেছে। এই উইকেটে বোলাররা তাদের জাত চিনিয়েছে। তাসকিন-মিরাজ ভালো বোলিং করেছে।’