কলসিন্দুর থেকে পালিচড়া
মেরিনা লাভলী, রংপুর
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১২:০৭ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১২:১৩ পিএম
রংপুরের পালিচড়া স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ব্যস্ত নারী ফুটবলাররা। সম্প্রতি তোলা। প্রবা ফটো
ওদের বয়স ৬ থেকে ১৭। সবাই স্কুল কিংবা কলেজের ছাত্রী। খুব সকালে ঘুম ভাঙে তাদের। সকালে ও বিকালে মাঠে যায় তারা। কেউ হেঁটে, কেউ সাইকেলে চেপে। সবার গায়ে খেলার জার্সি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা- কোনো বিরাম নেই। ফুটবল মাঠে বারোমাসই চলে তাদের এমন কঠোর অনুশীলন। ফুটবলই যেন তাদের পায়ের নূপুর।
ফুটবল ঘিরে ওদের দুচোখ ভরা স্বপ্ন, অথচ ঘরে নেই পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারের সংস্থান। অভাব অনুশীলনের সাজ-সরঞ্জামেরও। এত নেই আর নেই এর মাঝেই চারপাশের অবহেলা, দারিদ্র্য, সমাজের কিছু মানুষের চোখ রাঙানি- সব দুপায়ে দলে এগিয়ে চলেছে তারা।
তাদের চোখে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন। লাল-সবুজের পতাকাকে ফুটবল বিশ্বে জানান দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ছুটে চলেছে তারা। ফুটবলের মাঠে ঘাম ঝরিয়ে তিল তিল করে নিজেদের গড়ে তুলছে তারা। এরই মধ্যে সাফল্য কুড়িয়ে এনেছে দেশে-বিদেশে নারী ফুটবলের নানা আসর থেকে।
এ গল্প রংপুরের পালিচড়া গ্রামের ফুটবলকন্যাদের। শোনা যাক, বাধার বিন্ধ্যাচল পেরোনো এই মেয়েদের নিয়ে আরও কিছু কথা। রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে পালিচড়ার নয়াপুকুর কলেজ বাজার। এর পাশেই পালিচড়া স্টেডিয়াম, যেটিকে এখন বলা হয় নারী ফুটবলার তৈরির আঁতুরঘর। নারী ফুটবলারদের জন্য প্রতিষ্ঠিত একমাত্র স্টেডিয়ামও এটি। এ মাঠে অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শতাধিক খুদে নারী ফুটবলার হিসেবে গড়ে উঠেছে। এমনকি দেশ-বিদেশ থেকে সাফল্যও এনে দিচ্ছে। এভাবেই এগোতে এগোতে অজপাড়াগাঁ থেকে পালিচড়া একসময় হয়ে উঠেছে আরেক ‘কলসিন্দুর’।
পালিচড়ার ফুটবলযাত্রা
তৃণমূল পর্যায় থেকে নারী ফুটবলার তৈরিতে সরকারিভাবে শুরু হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। ২০১১ সালে পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এতে অংশ নেয়। গাঁয়ের মেয়েদের এভাবে ফুটবল খেলতে নেমে যাওয়া ভালো চোখে দেখেনি অনেকে। নানা সমালোচনা দেখা দেয়। তবে ব্যাপারটা ভালোভাবেই সামলে নেন পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই সময়ের সভাপতি প্রয়াত আবেদ আলী। তিনি সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হন। এরপর স্কুলের মেয়েরা স্বাচ্ছন্দ্যে অনুশীলনসহ টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। ওই বছর জাতীয় পর্যায়ে রানারআপ হয় পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সারা দেশে নাম ছড়িয়ে পড়ে পালিচড়ার মেয়েদের। ফুটবলের প্রতি ঝোঁক বাড়তে থাকে এলাকার স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের। এরপর পালিচড়া এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশেক আলী হিটলার, ফুটবল কোচ শামীম খান মিসকিনের প্রশিক্ষণে গড়া দল নিয়ে ২০১২ সালে পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। পালিচড়ায় মেয়ে ফুটবলারদের নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। বাধার দেওয়ালগুলো সরে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। বাড়তে থাকে ফুটবল অনুশীলনে মেয়েদের সংখ্যা।
অনুশীলনে যেসব গ্রামের মেয়েরা
পালিচড়া স্টেডিয়ামের পার্শ্ববর্তী গ্রাম জয়রাম, ফাজিল খাঁ, রামজীবন, মৌলভীপাড়া, ধাপেরহাট, পালিচড়া, শ্যামপুরের ৩০ জন স্কুল-কলেজপড়ুয়া মেয়ে নিয়মিত ফুটবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তাদের বয়স ৫ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত। ফুটবলের নানা কৌশলের অনুশীলন চলে প্রতিদিন। পালিচড়ায় এ পর্যন্ত শতাধিক নারী ফুটবলার তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছে। বর্তমানে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলছেন পালিচড়ার মেয়ে ডিফেন্ডার জয়নব বিবি। এর আগে এই গ্রামের স্বপ্না, সুলতানা, রত্ন ও মৌসুমী জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। বর্তমানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে অনূর্ধ্ব-১৭ দলে খেলছেন পালিচড়ার ৯ ফুটবলকন্যা। এর মধ্যে মিডফিল্ডার হাবিবা, সাদিয়া আক্তার, ফরোয়ার্ড আরিফা বেগম, ডিফেন্ডার আরমিন নাহার, বৃষ্টি খাতুন, হিমি আক্তার, রত্না খাতুন, গোলকিপার সাদিয়া আক্তার মীম, মিশরাত জাহান মিষ্টি টুর্নামেন্টে তাদের অনবদ্য নৈপুণ্য দেখিয়ে চলেছেন। আসন্ন নারী লীগে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পালিচড়ার মেয়ে শীলা, বৃষ্টি, সুলতানা, হিমি, ইন্নিমা, অনন্যা, মোসলেমা, শাপলা, জয়া, মনি, কনা, লিজারা। এদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আশপাশের গ্রামের স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও ফুটবলার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছে। ছুটে আসছে অনুশীলনের মাঠে।
সাফল্যই গড়ে দিল স্টেডিয়াম
পালিচড়ায় নারী ফুটবলে বিপ্লব ঘটলেও শুরুটা হয়েছিল নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে। নয়াপুকুর বাজারের মাঝখানে একটি মাঠ ছিল অসমতল, ইট-খোয়া, পাথর আর উঁচু-নিচু। সেখানে অনুশীলন করতে নেমে প্রায়ই ইনজুরির শিকার হতো মেয়েরা। এ ছাড়া অনুশীলন চলাকালে মোটরসাইকেল, ট্রাক মাঠে ঢুকে পড়ত। বখাটেদের উৎপাত ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। মেয়েদের ড্রেসিংরুম, বাথরুম কোনোকিছুই ছিল না। প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে অনিরাপদ পরিবেশে পোশাক পরিবর্তন এবং বাথরুম সারতে হতো মেয়েদের। এত প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও পালিচড়ার মেয়েরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য এনে দিয়েছে। এর স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে নয়াপুকুরে নারী ফুটবলারদের জন্য একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ‘রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে আধুনিক মিডিয়া সেন্টার ও ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণসহ অধিকতর উন্নয়ন’শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নয়াপুকুরে প্রায় ৪ একর জমির ওপর ২০২১ সালের মার্চে স্টেডিয়াম নির্মাণ শুরু করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। স্টেডিয়াম নির্মাণে ধরা হয় ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এতে প্যাভিলিয়ন ভবন, গ্যালারি, ফুড গ্যালারি, মেয়েদের থাকার রুম, ডাইনিং, কনফারেন্স রুমসহ নানা সুবিধা রয়েছে। এরই মধ্যে রংপুরের সাবেক পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার ১২ লাখ টাকা ব্যয় করে ২০২০ সালে নাসরিন ও ২০২১ সালে রুমির লিগ্যামেন্ট অপারেশনের ব্যবস্থা করেন। এর মধ্যে নাসরিন ২০২৩ সালে খেলোয়াড় কোটায় সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছেন। রুমি এখন কোচ হিসেবে পালিচড়ায় নতুন মেয়েদের গড়েপিটে তোলার কাজ করে যাচ্ছেন।
পালিচড়ার মেয়েদের ঝুড়িভর্তি সাফল্য
২০১৩ সাল থেকে কোচ হিসেবে মেয়েদের ফুটবলের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন পালিচড়ার স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মিয়া। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ২০১২ সালে পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০১৪ সালে রানারআপ হয়। একই বছর পালিচড়ার মেয়েরা জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (জেএফএ) আয়োজিত টুর্নামেন্টে রানারআপ এবং পরের বছরে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৬ সালে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন, ২০১৭ সালে জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত টুর্নামেন্টে রানারআপ, ২০১৮ সালে ৪৭তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, ২০১৯ সালে জেএফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন, ২০২১ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় পর্যায়ে রংপুর বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়। এতে পালিচড়ার খেলোয়াড় ছিলেন ১১ জন। ২০২২ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-১৯ এ রংপুর বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়। ওই দলে অংশ নেন পালিচড়ার ১০ ফুটবলকন্যা। ২০২৩ সালে ইউনিসেফ উইমেন্স ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ অনূর্ধ্ব-১২ এ পালিচড়ার চ্যাম্পিয়ন হয়। এর আগে ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এ গ্রামের নারী ফুটবলার সুলতানা আক্তার ও লাবণী আক্তার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে অর্থ পুরস্কার পান।
২০১৬ সালে দেশের বাইরে তাজিকিস্তানে এএফসি-অনূর্ধ্ব ১৪ ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে ভারতকে ৯-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। বিজয়ী সেই দলে ছিলেন এ গ্রামের মেয়ে লাবণী, আর্শিতা ও আঁখি।
ফুটবলকন্যাদের কথা
পালিচড়া স্টেডিয়ামে প্রায় ৭ বছর ধরে অনুশীলন করেন শীলা আক্তার। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, আমাদের সিনিয়র আপুরা যখন জাতীয় পর্যায়ে খেলছিল তখনই আমি ফুটবলে আগ্রহী হই। গত ৭ বছর ধরে অনুশীলন করছি। আগে আমাদের অনুশীলনের উপযোগী মাঠ ছিল না। ড্রেস চেঞ্জ করার জায়গা ছিল না। এখন প্রধানমন্ত্রী স্টেডিয়াম করে দেওয়ায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। পরিবারের লোকজনও এখন সাপোর্ট করে। জাতীয় দলের হয়ে খেলবÑ এটাই আমার স্বপ্ন।
সাদিয়া আক্তার মীম বলেন, আমাদের প্রায় সবারই বাবা দিনমজুর। পরিবারের অন্য সদস্যরা যা খায়, আমাদেরও তাই খেতে হয়। অথচ ফুটবলার হিসেবে আমাদের বাড়তি পুষ্টির প্রয়োজন। পরিবার থেকে এটি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আমাদের খাদ্য বা পুষ্টির অনেক ঘাটতি রয়েছে, যেটা পূরণ করার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
কাকুলী সরেন বলেন, আমি দিনাজপুরের বাসিন্দা হলেও ফুটবল প্রশিক্ষণের জন্য পালিচড়ায় থাকি। আমার স্বপ্ন বড় ফুটবলার হওয়া। আমরা প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা এবং বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অনুশীলন করি।
প্রশিক্ষক দম্পতি মিলন-রুমা
বিনা পয়সাতেই পালিচড়ার মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন মিলন মিয়া। পাশাপাশি নিজেও করেছেন এএফসির কোচিং ডিপ্লোমা। বছর দুয়েক ধরে তার স্ত্রী পালিচড়ার সাবেক ফুটবলার রুমা আক্তারও মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এ ছাড়া সদ্যপুস্করনী যুব স্পোর্টিং ক্লাব গঠন করে পালিচড়ার মেয়েদের নানা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করেছেন এ দম্পতি।
রুমা আক্তার বলেন, আমাদের দেখে ছোটরা উদ্বুদ্ধ হয়ে ফুটবলে আসছে। এখানকার মেয়েরা অনেক পরিশ্রমী। তারা ফুটবল খেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চায়। পালিচড়ার মেয়েরা দেশ-বিদেশে অনেক ভালো করছে।
মিলন মিয়া বলেন, পালিচড়া স্টেডিয়াম নির্মাণ হওয়ায় এখানকার মেয়েরা ভালো পরিবেশে অনুশীলন করতে পারছে। আমাদের মেয়েদের অনুশীলনে সরঞ্জমাদিসহ নানা বিষয়ে জেলা প্রশাসন, ক্রীড়া সংস্থা পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। খেলার মাঠ, ক্রীড়াসামগ্রী পেয়ে আমাদের মেয়েরা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তাদের পুষ্টিকর খাবার এবং ক্যাম্পের মাধ্যমে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা গেলে তারা জাতীয় পর্যায়ে অনেক ভালো করতে পারবে। আগে নারী ফুটবলের জাগরণে কেবল কলসিন্দুরের নাম সবার মুখে মুখে শোনা গেলেও এখন সর্বত্রই পালিচড়ার মেয়েরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। ফুটবলের সুবাদে এ গ্রামের সুনামও এখন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা নারী ফুটবলারদের বিভিন্ন সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তাদের উন্নয়নে আরও যা করা প্রয়োজন, প্রশাসন তার সবকিছুই করবে।