প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ২০:৪৪ পিএম
বাংলাদেশ আশাবাদী কন্ডিশন ও বোলিং দিয়ে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে রুখবে— ছবি: আ. ই. আলীম
রোমাঞ্চিত নিগার সুলতানা জ্যোতি সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘বেটার সাইডে অস্ট্রেলিয়া।’ বাংলাদেশ দল কতটা এবং ঠিক কোন কোন জায়গায় অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে, সেটাও বলেছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক। জ্যোতিদের যেখানে বড় দলের বিপক্ষে খেলার রোমাঞ্চ, সেখানে অজি কন্যাদের বিশ্বকাপের রসদ জোগাড়ের মঞ্চ। বুধবার সফরকারী অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি বুঝিয়েছেন, বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই তাদের মূল লক্ষ্য।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। দুদলের পঞ্চাশ ওভারের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়। সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন হিলি। পাকিস্তান, ভারত কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়েও অজি মেয়েরা যে এগিয়ে শক্তি-সামর্থ্যে তা রাগঢাক না রেখেই বলেছেন জ্যোতি। টাইগ্রেস কাপ্তান অবশ্য তুলে ধরেছেন নিজেদের শক্তির জায়গাটাও।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। এর আগে দুই দল কেবল আইসিসি ইভেন্টেই মুখোমুখি হয়েছে। সেই সংখ্যাটাও খুব কম। ২০২২ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে একবার, ২০২০ এবং ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবার। ওয়ানডের হিসাবে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে মোটে একবার। ২০২২ বিশ্বকাপে। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে বাংলাদেশের মেয়েরা হার মানেন ৫ উইকেটের ব্যবধানে।
সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। কন্ডিশনও আশা দেখাচ্ছে জ্যোতিদের, ‘প্রথমত হচ্ছে হোম কন্ডিশন, আমার মনে হয় এই কন্ডিশন তাদের জন্য অচেনা। তারা এখানে কখনোই খেলেনি। তবে সম্প্রতি তাদের অনেক খেলোয়াড় কিন্তু আইপিএল খেলে আসছে। আর বাংলাদেশ এবং ভারতের উইকেট একই থাকে। তারা একটু হলেও জানে যে কেমন কন্ডিশনে খেলা হবে। সব মিলিয়ে যদি দেখেন অবশ্যই তারা এগিয়ে। তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাদের বিপক্ষে খেলাটা বলব আমাদের জন্য বড় একটা অভিজ্ঞতা। গত ৬/৭ মাস ধরে আমরা যেভাবে খেলছি তাতে অবশ্য আমাদের হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই তাদের। তারা সেরা স্কোয়াডই এনেছে আর বিশ্বকাপও এখানে।’
বাংলাদেশের শক্তির জায়গা নিয়ে জ্যোতির ভাষ্য, ‘যদি আমাদের দিক থেকে চিন্তা করি, সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যখন খেলে আসছি আমাদের ব্যাটিংটা অনেক বেশি শক্তিশালী মনে হয়েছে। যখন দেশে খেলেছি ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে তখন মনে হয়েছে বোলিংটা অনেক বেশি শক্তিশালী। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো দিক। এখন গুরুত্বপূর্ণ কালকের (আজকের) দিনটা কে কীভাবে কোন ইউনিট সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে দলের জন্য।’
আগামী অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে বসবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। জ্যোতিদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলার পর তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলবে অস্ট্রেলিয়া। সেটির কথা মাথায় রেখেই সিরিজটিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন অস্ট্রেলীয়রা। তবে এখানের কন্ডিশনে পরিচিত নয় বলে স্বাগতিকদের সমীহ করছেন বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠ আর স্কোয়াডের দুজন বাদে (২০১৪ সালে বাংলাদেশে খেলেছিলেন অ্যালিসা হিলি ও এলিস পেরি) সব খেলোয়াড়ের অচেনা কন্ডিশন বলে টাইগ্রেসদের সমীহও করছেন হিলি, ‘ওদের দলটায় যদি তাকান, তাহলে দেখতে পাবেন বোলিংয়ে অনেক দক্ষতা আছে। বিশেষ করে স্পিন বোলিংয়ের আধিক্যটা বেশ স্পষ্ট। উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর জন্য এটি স্বাভাবিকভাবেই একটা চ্যালেঞ্জ। আমি নাম বলব না, তবে তাদের পুরো বোলিং লাইনআপই শক্তিশালী।’