ঊষার জয়, মেরিনার্সকে রুখে দিল পুলিশ

প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ঊষা ক্রীড়া চক্র। দলটির ভারতীয় খেলোয়াড় মোহাম্মদ শারিক হ্যাটট্রিক পেয়েছেন। তাতে সাধারণ বীমা করপোরেশনকে ৫-১ ব্যবধানে হারান আশিকুজ্জামানের শিষ্যরা। জয়ী দলের হয়ে তৈয়ব আলী ও ভারতের অনিকেত গুরাভ একটি করে গোল করেন। খেলায় সাধারণ বীমার একমাত্র গোলদাতা পারভেজ মোশাররফ।

শনিবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম খেলায় সপ্তম মিনিটেই অনিকেতের ফিল্ড গোলে লিড নেয় ঊষা। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে আবারও গোল উৎসব ঊষার। ১৯ মিনিটে তৈয়ব আলীর ফিল্ড গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। ২২ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ব্যবধান ২-১-এ নামিয়ে আনেন সাধারণ বীমার পারভেজ। খেলার তৃতীয় কোয়ার্টারের শেষদিকে, ৪৫ মিনিটে শারিকের পেনাল্টি কর্নারে ব্যবধান আবার বাড়িয়ে নেয় ঊষা (৩-১)। চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারের গল্পটাও ঊষা ও শারিকের। ৪৯ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ব্যবধান ৪-১ করে ঊষা। ৫১ মিনিটে আবারও পেনাল্টি কর্নার ঊষার। স্কোরলাইন ৫-১ করার পাশাপাশি নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মোহাম্মদ শারিক।

দিনের অপর খেলায় মেরিনার ইয়াংস ক্লাব এবং বাংলাদেশ পুলিশ স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচটি ৫-৫ গোলে ড্র হয়েছে। জমজমাট লড়াই শেষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুদল। মেরিনার্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। অথচ এমন পরাশক্তিকে রুখে দিল পুলিশ। চলতি লিগে দ্বিতীয়বার পূর্ণ পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত হলো মামুনুর রশিদের দল। এর আগে লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঊষার কাছে পরাজিত হয় মেরিনার্স। 

পুলিশের বিপক্ষে ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলে অনেকটা পিছিয়ে গেল মেরিনার্স। লিগের টপ স্কোয়ার মেরিনার্সের সোহানুর রহমান সবুজ জোড়া গোল করেও দলকে জেতাতে পারেননি। এ ছাড়া মেরিনার্সের হয়ে ফজলে হোসেন রাব্বি, মাঈনুল ইসলাম কৌশিক এবং ভারতের রাজিন্দ্রর সিং পুলিশের বিপক্ষে একটি করে গোল করেন। অন্যদিকে পুলিশের আব্দুল মালেক এবং দলটির ভারতীয় খেলোয়াড় গুরজিৎ সিং জোড়া গোল করেন। অপর গোলটি করেন রেজাউল আহমেদ রাতুল।

খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই পেনাল্টি কর্নার থেকে পুলিশকে শুরুতেই এগিয়ে নেন গুরজিৎ। দুই মিনিট পরই অধিনায়ক রাব্বির পেনাল্টি স্ট্রোকে সমতায় ফেরে মেরিনার্স। নবম মিনিটে রাজিন্দর সিংয়ের ফিল্ড গোলে এবার লিড নেয় মেরিনার্স। ১৩ মিনিটে দারুণ এক ফিল্ড গোলে পুলিশকে ২-২ সমতায় ফেরান মালেক। প্রথম কোয়ার্টারে সমতায় থেকে মাঠ ছাড়ে দুদল। 

দ্বিতীয় কোয়ার্টার ছিল গোলশূন্য। তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে সবুজের চমৎকার এক ফিল্ড গোলে ৩-১ ব্যবধানে লিড নেয় মেরিনার্স। ৩৫ মিনিটে কৌশিক ফিল্ড গোল করলে মেরিনার্সের সঙ্গে পুলিশের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৪-২ গোলের। ৩৭ মিনিটে মালেক এক গোল পরিশোধ করেন। ৩ মিনিট পর পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট সবুজের গোলে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মেরিনার্স। 

তৃতীয় কোয়ার্টারে পিছিয়ে থাকা পুলিশ ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারটা নিজেদের করে নেয়। ৪৭ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মালেক। মেরিনার্সের সঙ্গে পুলিশের ব্যবধান দাঁড়ায় ৫-৪ গোলের। ৫৩ মিনিটে গুরজিৎ পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে পুলিশকে ৫-৫ সমতায় ফেরান। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুদল।