মুম্বাইকে হারিয়ে শুভসূচনা গুজরাটের

এভাবে হারতে হবে সেটা হয়ত কল্পনাও করেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ভক্তরা! গুজরাট টাইটান্সকে ১৬৮ রানে আটকে দিয়ে সহজ জয়ের পথে ছুটছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ৭ উইকেট হাতে রেখে শেষ ৩৬ বলে তাদের দরকার ছিল ৪৮ রান। কিন্ত শেষ পর্যন্ত আর তীরে তরী ভেড়াতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়ারা। বোলারদের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে মুম্বাইয়ের জয় একপ্রকার ছিনিয়ে নিলো গত দুই আসরের ফাইনালিস্টরা।

রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইপিএলের ১৭তম আসরের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৬৮ রান জমা করেছিল গুজরাট টাইটান্স। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান পর্যন্তই তুলতে পারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ৬ রানের নাটকীয় জয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক রাঙাল শুভমান গিল।

এদিন টস হেরে আগে নিজের সাবেক দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মুম্বাইয়ের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন গুজরাটের দুই ওপেনার ‍ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গল। তবে দুজনের কেউই ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। সাহা ১৫ বলে ১৯ রান করে ফেরেন বুমরাহর শিকারে। আর পীযুশ চাওলার বলে গিল আউট হন ২২ বলে ৩১ রান করে। 

ওয়ান ডাউনে নেমে স্বাচ্ছন্দে রান তুলতে থাকেন সাই সুদর্শন। কিন্তু অপর প্রান্তে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ডেভিড মিলার। ১১ বলে ১৭ রান করে ওমারজাই ও মিলার ১১ বলে ১২ রান করে আউট হন। এরপর সুদর্শন ৩৯ বলে ৪৫ রান করেন। শেষদিকে ১৫ বলে ২২ করে রাহুল তেওয়াতিয়া আউট হলে ছন্দ হারায় গুজরাট। শেষ পর্যন্ত বিজয় শঙ্কর ৫ বলে ৬ রান এবং রশিদ খানের ৩ বলে ৪ রানের ইনিংসে ভর করে ছয় উইকেটে ১৬৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় গুজরাট টাইটান্স।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। এ ছাড়াও জেরাল্ড কোয়েটজি দুটি এবং পীষুশ চাওলা নেন এক উইকেট।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় মুম্বাই। ইনিংসের চতুর্থ বলে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন ঈশান কিষান। তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে এসে দ্রুত রান তুলতে থাকেন নামান ধীর। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১০ বলে ২০ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার।

কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন মুম্বাইয়ের সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাকে সঙ্গ দেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে নামা ডেয়াল্ড ব্রেভিস। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ে পথে এগোতে থাকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

তবে ফিফটি আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন দুই ব্যাটারই। ২৯ বলে ৪৩ রানে রোহিত এবং ৩৮ বলে ৪৬ রান করে আউট হন ব্রেভিস। ১৮তম ওভারের শেষ বলে ১০ বলে ১১ রান করে টিম ডেভিড আউট হলে, ১২ বলে মুম্বাইয়ের লক্ষ্য দাঁড়াই ২৭ রান।

১৯তম ওভারে প্রথম বলে ছক্কা হাঁকালেও পরের বলে ক্যাচ আউট হন তিলক। ১৯ বলে ২৫ রান করেন তিনি। একই ওভারের শেষ বলে কোয়েটজি ১ রানে আউট হলে, ছয় বলে ১৯ রান দরকার ছিল মুম্বাইয়ের।

২০তম ওভারে প্রথম বলে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের আশা দেখায় হার্দিক পান্ডিয়া। তবে তৃতীয় বলে এই ডান হাতি ব্যাটার ক্যাচ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মুম্বাই। নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তুলতে পারে মুম্বাই। এতে ৬ রানের জয় পায় গুজরাট টাইটান্স।

টাইটান্সের হয়ে আজমতুল্লাহ ওমারজাই, জনসন, উমেশ যাদব এবং মোহিত শর্মা দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও এক উইকেট নেন সাই কিশোর।