প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪ ২০:২৬ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪ ২০:২৬ পিএম
ছবি: আ ই আলীম
বাংলাদেশ যেকোনো দলের জন্য হুমকি। ঢাকায় পা রেখে নিগার সুলতানাদের নিয়ে ঠিক এমনই মন্তব্য ছিল অ্যালিসা হিলির। আদতে মাঠের চিত্রপট ভিন্ন। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ওয়ানডেতে হিলিদের বড় জয়। দ্বিতীয়টিতেও তাই। সিরিজের শেষ ম্যাচে কী হতে পারে, তা অনেকটা অনুমেয়। তবে মানরক্ষায় মরিয়া আহত বাঘিনীরা। গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াতে চান নিগার সুলতানারা। তিনে তিন করতে অজি নন্দিনীরাও নতুন করেই সাজিয়েছেন পরিকল্পনা।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে সিরিজের শেষ ওয়ানডে। প্রথম দুই ম্যাচের ভুল নিয়ে কথা বলেছেন টাইগ্রেস দলপতি। জ্যোতি মনে করেন, ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংÑ তিন সেক্টর এক হতে না পারায় এমন বিপর্যয়। বোলিং, বিশেষ করে স্পিনাররা দুর্দান্ত। বেশিরভাগ উইকেট নাহিদা আক্তার, সুলতানা খাতুন ও ফাহিমা আক্তারদের ঝুলিতে। তবে ব্যাটারদের অসহায়ত্বে আশা জেগেও ভেঙেছে। ফসকে গেছে সিরিজ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের আগে জ্যোতি বলেছেন, ‘সবাই দুর্দান্ত বোলিং করেছে। বিশেষ করে স্পিনাররা। তারা সেরাটা দেখিয়েছে। আমাদের স্পিনাররা বিশ্বমানের। ব্যাটাররা (স্পিনারদের) সাহায্য করতে পারেনি বলেই ভরাডুবি।’
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ধারে-ভারে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে হলুদ জার্সিধারীরা। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে লাল-সবুজের মেয়েদের বিপক্ষে শতভাগ জয় অজিদের। সাফল্যের পাল্লা হালকা হলেও শেষ ম্যাচে জমিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় টাইগ্রেস ক্যাপ্টেনের, ‘আমাদের একটা ম্যাচ বাকি। আশাবাদী ব্যাটিং ইউনিট রানে ফিরবে। ব্যাটাররা ফর্মে ফিরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও ব্যাটাররা রান পেয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, যত চাপে থাকবে ততই শিখবে মেয়েরা।’
আগামী সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশে বসবে বৈশ্বিক আসর। অচেনা কন্ডিশন খুটিয়ে দেখা। টাইগ্রেস স্পিনারদের সঙ্গে পরিচয়। অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই ট্যুর একটু বিশেষই! রথ দেখতে এসে কলা বিক্রি হলো অ্যালিসা হিলিদের। স্কোয়াডের দুজন বাদে (২০১৪ সালে বাংলাদেশে খেলেছিলেন অ্যালিসা হিলি ও এলিস পেরি) সব খেলোয়াড়ের অচেনা কন্ডিশন বলে টাইগ্রেসদের সমীহও করছেন হিলি, ‘ওদের অনেক দক্ষ বোলিং আছে। স্পিন বোলিংয়ের আধিক্যটা বেশ স্পষ্ট। উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর জন্য এটি স্বাভাবিকভাবেই একটা চ্যালেঞ্জ। আমি নাম বলব না, তবে তাদের পুরো বোলিং লাইনআপই শক্তিশালী।’
বাংলাদেশের স্পিন যে ভীত জাগানিয়া প্রথম সাক্ষাতেই টের পায় সফরকারীরা। ঘূর্ণিমোহে বেকায়দায় পড়েছিলেন পেরি-হিলিরা। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশে লক্ষ্য ব্যাটারদের রানে ফেরা। সব ছাপিয়ে জয়। অস্ট্রেলিয়ারও লক্ষ্য অভিন্ন।