প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪ ০১:০১ এএম
বিসিবি বস কড়া সমালোচনা করেছেন ব্যাটারদের— পুরোনো ছবি
নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। ভুল শুধরানোর কথা দিয়েছেন, তবে উত্তর দিতে পারেননি। টাইগার অধিনায়কের মতো মেহেদী হাসান মিরাজও এড়িয়ে গেছেন প্রশ্ন। সিলেট টেস্টে লিটন-জয়দের ব্যাটিং ভরাডুবির বিষয়টি মোটেও পছন্দ হয়নি আব্দুর রাজ্জাকের কাছে। খোলাখুলি সমালোচনা করেছিলেন বিসিবির নির্বাচক। সেই তালিকায় এবার খোদ ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। টাইগার ব্যাটারদের এমন আত্মঘাতী হওয়াকে তিনি দেখছেন বিশ্রি, জঘন্য এবং মানসিকতার সমস্যা হিসেবে।
সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াই করতে পারেননি কেউ। টপ অর্ডার ছিল ব্যর্থ। টেস্ট খেলার যে ধৈর্য, লড়াই করার যে মানসিকতা, টিকে থাকার যে মনোভাব তা ধরা পড়েনি একটুও। বরং আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, খেলাটাকে স্রেফ তামাশা বানিয়ে ফেলেছেন তারা। দ্রুত ডাগআউটে ফেরার তাড়ার এমন বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছেন বিসিবি বস। গতকাল মঙ্গলবার মিরপুরে স্বাধীনতা দিবসের ম্যাচ শেষে পরিচালক, প্রধান নির্বাচকদের সঙ্গে বসেছিলেন পাপন। কী করলে দলের উন্নতি হতে পারে সেসব নিয়ে করেছেন আলোচনা।
পরে বিসিবিপ্রধান সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ ঝেড়েছেন, ‘সমস্যা হচ্ছে হারাটা গুরুত্বপূর্ণ না। সমস্যা হচ্ছে যেভাবে তারা হেরেছে। যেভাবে তারা খেলেছে। যে মানসিকতায়, যে মনোভাব, তাদের শট বাছাই জঘন্য, বিশ্রি ছিল দেখতে। মনে হয়েছে তারা হয়তো খেলতে চায় না টেস্ট ক্রিকেট অথবা অন্য কোনো সমস্যা। এটা নিয়ে আমরা কষ্ট পেয়েছি। হারা জিতা নিয়ে আমরা একদমই চিন্তিত না। এই ধরনের শট সিলেকশন, এই ধরনের মাইন্ডসেট; এটা টেস্টে যায় না। এরা কেউ বাচ্চা ছেলে না যে হঠাৎ করে ওদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা প্রত্যেকে জানে। ঠিক এই কারণেই আমাদের মনটা খারাপ হয়েছে।’
সিলেটে লঙ্কানরা ৫ শতাধিক রানের বোঝা চাপিয়েছিল। সেখানে ঠান্ডা মাথায় না খেলে বরং আত্মঘাতী ছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে শটে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে স্লিপে ক্যাচ দেন অধিনায়ক শান্ত। উইকেট বিলিয়ে আসেন শাহাদাত হোসেন দিপুও। সবশেষে লিটন দাস হন সবচেয়ে দৃষ্টিকটু আউট।
কেন লিটন আত্মঘাতী হলেন, সেই ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছিল অধিনায়কের কাছে। তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে বিসিবি সভাপতি মনে করেন, লিটনকে বাদ দেওয়া বা বিশ্রামে রাখাটাই বেশি জরুরি— ‘বিশ্বকাপ থেকেই ওকে দেখতেছি। মনে হচ্ছে, দেয়ার ইজ সামথিং রং। এজন্যই তাকে কিন্তু ওয়ানডে থেকেও বাদ দিয়েছি। আমার ধারণা এই সময়ে তাকে একটা ব্রেক দিলে ভালোভাবে ফিরে আসতে পারত। আরেকটু কিছুদিন যদি ব্রেক দেওয়া যেত।’
তবে ভরাডুবির পর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘হারা জিতা গুরুত্বপূর্ণ না। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত না। এটা যে একদমই প্রত্যাশিত ছিল না তা না। টি-টোয়েন্টিতে হারলাম কেন? সেটা হারায় মনে দুঃখ আছে। যদি বলেন ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলাম না কেন তাহলে সেটা নিয়ে আক্ষেপ আছে। সেটা কেন জিতব না। টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতবই ওই আত্মবিশ্বাস ছিল না।’