প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১১:৪০ এএম
দানি আলভেজ
শুরুতে জেল থেকে বের হওয়ার জন্য শত চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জামিন পাননি। ১৪ মাস জেল খাটার পর জামিন পেয়েও ছাড়া পাচ্ছিলেন না দানি আলভেজ। মুচলেকার অর্থ দিতে পারছিলেন না। এ কারণে ২০ মার্চ জামিন পেয়েও জেলে থেকে যেতে হয় ব্রাজিলিয়ান এ তারকা ডিফেন্ডারকে।
অবশেষে জামানতের বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ কোটি টাকা দিয়ে (১০ লাখ ইউরো) কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আলভেজ। তবে প্রশ্ন উঠেছে তার মুচলেকার অর্থদাতা কে? আর্জেন্টাইন, কাতারি ও মেক্সিকান গণমাধ্যমের খবরÑ আলভেজের মুচলেকার অর্থ পরিশোধ করেছেন তার সাবেক বার্সা সতীর্থ মেম্ফিস ডিপাই। যিনি এখন ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলছেন আটলেটিকো মাদ্রিদে।
আলভেজের শাস্তি কমানোর জন্য অর্থ দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ায় এ যাত্রায় আর কোনো অর্থ দিতে রাজি হয়নি নেইমারের পরিবার। পরে অর্থের জোগান দিতে মাঠে নামেন আলভেজের মা ও তার ভাই। অর্থের জোগাড় হতেই জেল থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
বার্সেলোনার এক নৈশ ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি পান আলভেজ। তবে দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম আর তদন্ত শেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বার্সেলোনার সাবেক এ রক্ষণভাগের ফুটবলার।
এর আগেও অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর তথ্য রয়েছে ডিপাইয়ের। ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ম্যানচেস্টার সিটির ফরাসি ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন মেন্দির পাশে ছিলেন ডিপাই। অভিযোগ থেকে মুক্ত হতেই মেন্দির হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টও দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের এ ফুটবলার। মাদক পাচারে অভিযুক্ত ও আটক হওয়া ডাচ ফরোয়ার্ড কুইন্সি প্রোমেসকেও সাহায্য করেছিলেন ডিপাই।
আলভেজ ও মেন্দির প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানো নিয়ে ডিপাই বলেন, ‘বেঞ্জামিন মেন্দি ও দানি আলভেজ অপরাধমূলক মামলায় জড়িত। তবে এর মানে এই নয় যে তারা এখন আর আমার বন্ধু নয়। আমি কখনও আমার বন্ধু ও পরিবারকে হতাশ করব না। এর মানে এটা নয় যে, তারা যা করে তার সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু আমি তাদের পরিত্যাগ করতে পারি না। মানুষের বোঝা উচিত যে, আমি ভিন্ন একটি পরিবেশ থেকে এসেছি।’