ডিপিএল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪৭ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩৯ পিএম
ম্যাচসেরা শামীম হোসেন
প্রতিটি খেলোয়াড়ের একটি বিশেষ দিন থাকে। যেদিন তালে-লয়ে বাজে সবই। জয়-পরাজয়ের ঊর্ধ্বে তিনিই ঘরে-বাইরে আলোচনায়। শামীম হোসেন পাটোয়ারী এমনই একটি দিন পেয়েছিলেন দশম বিপিএলে, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। দিনটিতে রংপুর রাইডার্স ছিল কার্যত ব্যর্থ। ঠিকই বিদ্যুৎ ঝিলিক খেলেছিল শামীমের ব্যাটে। নুরুল হাসান সোহানের দল হারলেও বুক চিতিয়ে শামীম হয়েছেন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’।
ডিপিএলে তেমনই একটি মোয়ানো দিন পেলেন শামীম হোসেন। বৃষ্টির আনাগোনার দিনটিতে প্রিয় স্কুপ শট। সঙ্গে বাহারি শটের মেলা বসিয়েছিলেন খান সাহেব ওসমানি স্টেডিয়ামে। তিনি দৌড়ে যতটা না তারচেয়েও বেশি চার-ছক্কায় রান তুলেছেন। নির্দিষ্ট করে বললে চার মারা সম্ভবত শামীমের খুব একটা পছন্দ ছিল না এদিন, তাই হয়তো মারেননি! ছক্কা মেরেছেন গুনে গুনে ৮টি। আর চার ছয়টি। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অধিনায়ক ৪৩ বলে খেলেছেন ৮৬* রানের ইনিংস। ৩২ বলে করেছেন ফিফটি। আর শেষ ১১ বলে ৩৬। এদিন ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছেন রূপগঞ্জের আরেক ব্যাটার তৌফিক খান তুষার।
আজ নারায়ণগঞ্জে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের দলপতি মিজানুর রহমান। দলীয় কুড়ির আগে কাটা পড়েন দুই ওপেনার। মিজানুরও তার সেরাটা উগড়ে দেন। রান আউটে মাঠ ছাড়া হওয়ার আগ পর্যন্ত করেন ৮৮ রান। উইকেট মিছিলের দিনে একপ্রান্ত আগলে ধরেন ক্যাপ্টেন। যোগ্য নেতার গুণ দেখান ব্যাট হাতে। ১২ চার ও ২ ছক্কা সাজান ইনিংস। তানভীর হায়দার চেষ্টা করেছিলেন তাল মেলাতে। দুর্ভাগ্য, তিনিও একই কায়দায় ফেরেন। সবমিলিয়ে ১৯১ রানের পুঁজি পায় পারটেক্স। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে শুভাগত হোম ও মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম তিনটি করে উইকেট তুলেন।
রান তাড়ায় দলীয় ফিফটির এক রান আগে ফেরেন ওপেনার ইমরানুজ্জামান। তার একটু পর চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর আর পেছন তাকাতে দেননি তৌফিক খান তুষার এবং শামীম হোসেন। দুজনের অনবদ্য ১১৬ রানের জুটি যখন ভাঙে, জয় তখন হাতছোঁয়া দূরত্বে। তবে তুষার আক্ষেপ করতেই পারেন। তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার থেকে ১৭ রান দূরে কট আউট হন। আর আমিনুল ইসলামকে নিয়ে মাত্র ২৫.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছান শামীম। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে রূপগঞ্জ। পারটেক্সের হয়ে রাকিবুল আতিক দুটি উইকেট সংগ্রহ করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব : ৪৭.২ ওভারে ১৯১/১০ (মিজানুর ৮৮, তানভীর ৩৬; শুভাগত ৩/২৪)।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ : ২৪.৩ ওভারে ১৯৫/৩ (শামীম ৮৬, তুষার ৮৩; আতিক ২/৪০)।
ফল : লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : শামীম হোসেন।