ডিপিএল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫১ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৭:০৬ পিএম
৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন তাহজিবুল গাজী মোহাম্মদ তাজিবুল ইসলাম
বৃত্ত ভাঙার চ্যালেঞ্জ ছিল দুই দলেরই। এ যাত্রায় সফল গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি। টানা পাঁচ হারের পর জয়ের মুখ দেখলো গাজী তাহজিবুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন দলটি। অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলে আরো তলানিতে সিটি ক্লাব।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেএসপিতে (৪ নম্বর মাঠ) প্রথমে ব্যাটিং করে গাজীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৪ রান। জবাবে কোটার এক ওভার আগে এবং ৩৮ রান দূরত্বে থামে সিটি।
এদিন দলীয় ফিফটির আগে টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায় গাজী। ধ্বংসাস্তুপ থেকে দলকে দুইশো ঊর্ধ্ব সংগ্রহ এনে দেন তাহজিবুল ইসলাম। দলীয় ২৩ রানে ওপেনার ইফতেখার হোসাইন এবং ওয়ান ডাউনে নামা হাফিজুর রহমানকে হারায় গাজী। ইফতির অর্জন ১৪ রান হলেও রানখাতা খুলতে পারেননি হাফিজুর। সে ধাক্কা সামাল দেওয়ার একটু পরই অর্থাৎ দলীয় ৪০ এবং ৪৭ রানে আশরাফুল ইসলাম এবং জুবারুল ইসলামও মাঠ ছাড়েন। দুই জোড়া ধাক্কায় দল যখন বিপর্যস্ত একপ্রান্ত আঘলে রাখেন আশিকুর রহমান শিবলি। একটা পর্যায়ে তিনিও ফেরেন। ব্যক্তিগত ফিফটি থেকে পাঁচরান দূরে। শাহরিয়ার কমলের হাতে কট আউটে মাঠ ছাড়েন তিনি।
শিবলি ফিরলেও ক্যাপ্টেন তাহজিবুল ঠিকই লড়াই চালিয়ে যান। কখনো শামীম মিয়াকে নিয়ে। কখনো আরিদুল ইসলাম আকাশকে নিয়ে। এক শিবলি ছাড়া যোগ্য সঙ্গ কেউই দিতে পারেননি। শেষ দিকে তিনিও খেই হারিয়ে ফেলেন। থামেন ৮৫ রানে। ১২০ বলে ৭ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় সাজানো ছিল ইনিংস। আর দল পায় ২১৪ রান পুঁজি। সিটির হয়ে মেহেদী হাসান এবং মইনুল ইসলাম তিনটি করে উইকেট তোলেন।
রান তাড়ায় শুরুতেই পথ হারায় সিটি। দলীয় ৮ রানে দুই ওপেনার ফেরেন। এরপর শাহরিয়ার কমল (৪০) এবং সাজ্জাদুল হক রিপন (৫০) চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সতীর্থদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য না পাওয়াতে ১৭৬ রানে আটকা পড়ে ইনিংস। গাজীর হয়ে আকাশ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি: ৪৯.৪ ওভারে ২১৪/১০ (তাহজিবুল ৮৫, শিবলি ৪৫; মইনুল ইসলাম ৩/৩৭)।
সিটি ক্লাব: ৪৯ ওভারে ১৭৬/১০ (সাজ্জাদুল ৫০, কমল ৪০; আকাশ ৪/৩৩)।
ফল: গাজী টায়ার্স ৩৮ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: গাজী মোহাম্মদ তাজিবুল ইসলাম।