প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৯ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২২ পিএম
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে চালকের
আসনে শ্রীলঙ্কা। ছয় ব্যাটারের পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে ৫৩১ রানে থেমেছিল সফরকারীরা। জবাবে
জাকির হাসানের ফিফটির পরও চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৮ রানে গুটিয়ে
যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। ম্যাচে টাইগারদের ফলো-অনে ফেলার সুযোগ থাকলেও সেটি না করে
আবার ব্যাটিংয়ে নামে লঙ্কানরা। দিনের শেষ সেশনে ২৫ ওভার ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ
৬ উইকেটে ১০২ রান। প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ব্রিগেডের
লিড দাঁড়িয়েছে ৪৫৫ রানে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। যা গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের টাইমড আউটের
পর অন্য মাত্রা পেয়েছে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজেও যার রেশ ছিল। তাই চলমান
টেস্টে স্বাগতিকদের ইনিংস ব্যবধানে হারানোর সুযোগ শ্রীলঙ্কা কেন হাতছাড়া করেছে, তা
নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছিল। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেটি
খোলাসা করেছেন শ্রীলঙ্কার পেস বোলিং কোচ দর্শনা গামাগে। তার ভাষ্যমতে, বোলারদের বিশ্রাম
দিতেই লঙ্কানরা ব্যাটিংয়ে নেমেছে।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম
ইনিংসের ১০ উইকেটের ৮টিই নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। আসিথা ফার্নান্দো একাই শিকার
করেন ৪টি উইকেট। আর বিশ্ব ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারার পান ২টি করে উইকেট। তবুও বাংলাদেশকে
ফলো-অনে ফেলেননি তারা, দ্বিতীয় ইনিংসে আরও বেশি কার্যকর হওয়ার ভাবনা গামাগের, ‘প্রধান
কারণ হলো বোলারদের আমরা একটু বিরতি দিতে চেয়েছি। কারণ আরও দুই দিনের খেলা বাকি আছে।
এই বিশ্রামে তারা দ্বিতীয় ইনিংসে আরও বেশি কার্যকরী হতে পারে।'
শুধু নিজের শিষ্যদেরই নয়, বাংলাদেশের
পেসারদেরও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এই লঙ্কান কোচ, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দুই
দলের পেসাররাই ভালো বল করেছে। ভালো জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল করে গেছে। টেস্ট ক্রিকেটে
শৃঙ্খলা ধরে রাখার ব্যাপারে আমরা সব সময় কথা বলি। এমনকি ব্যাটারদের নিয়ে পরিকল্পনার
আগেও আমরা বলাবলি করি নিজেদের বোলিংয়ে যেন শৃঙ্খলা থাকে। কীভাবে ফিল্ডিং সাজাতে হবে
এবং সে অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে বল করতে হবে। দুই টেস্টেই পেসাররা দ্রুতই নিজেদের কাজ
ধরতে পেরেছে। এই ম্যাচের আগেও আমরা প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি।’