প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ২১:০২ পিএম
পেসারদের আলাদা করে স্তুতি গেয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক— সংগৃহীত ছবি
সিলেটে টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছিল, দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নিজে। চট্টগ্রামে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ততটা প্রয়োজন পড়েনি। লাক্কাতুরা চা বাগান ঘেরা মাঠের পর সাগরিকায়ও ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ দিনের টেস্টে একটি সেশনেও এগিয়ে থাকতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে দাপট দেখিয়ে টেস্ট জিতে তাই যানপরনাই খুশি লঙ্কান অধিনায়ক।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি টেস্টের সিরিজে ব্যাটিং কিংবা বোলিং— সব বিভাগে যোজন এগিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কা। ফিল্ডিংয়েও টাইগারদের মতো বড় কোনো ভুল করেনি। সব মিলিয়ে বোলারদের নিবেদনে খুশি ধনঞ্জয়া। গতকাল বুধবার ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে বোলারদের স্তুতি গেয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক, ‘মৃত উইকেটে একজন স্পিনারকে খেলানোর চাইতে আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলানোর পক্ষে। তাই পেস বোলারই আমার পছন্দ। এ কারণে তিন পেসার নিয়ে খেলেছি। আমাদের পেসারদের ভালো করার জন্য উইকেটে ঘাস থাকার প্রয়োজন নেই। তারা এই বিষয়টি প্রমাণও করেছে। এখানে উইকেট পাওয়া সহজ নয়। এখানে সূর্যের তাপ অনেক বেশি। এই উইকেট জীবন্ত নয়। তাই আমাদের পরিশ্রম করেই উইকেট নিতে হয়েছে। আমাদের ব্যাটারদের প্রতিভা ছিল, তাই আমরা প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছি। এটা আমাদের বোলারদের কাজে দিয়েছে।’
সিলেট টেস্টে ব্যাটাররা রান না পেলেও চট্টগ্রাম টেস্টে রানে ফিরেছে। সেই কারণে সিরিজ নিজেদের ঝুলিতে পোরা সহজ হয়েছে বলে মনে করেন ধনঞ্জয়া, ‘আমরা যখন বাংলাদেশে এসেছি, তখনই বুঝেছি এখানে ব্যাটাররা রান পাবে। তাদের (ব্যাটার) পরিকল্পনায় ছিল রান করা। তারা হতাশ ছিল, কেননা সিলেটে তারা রান পায়নি। কিন্তু ফিরে এসেছে। আমার জন্য অন্য বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ ছিল।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই আলাদা দ্বৈরথ। দুই দেশের ‘নতুন রাইভালারি’ নিয়ে প্রশ্ন করতেই হেসে ওঠেন ধনঞ্জয়া। সামনের বিশ্বকাপে ডালাসে প্রথম ম্যাচে দুদলের সেই দ্বৈরথ দেখা যাবে কি না, এমন প্রশ্নে ধনঞ্জয়া বলেন, ‘আমি জানি না। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বৈরথ নেই। এটা কেবল দুটি দেশের মধ্যকার খেলা। আর আমি আগেও বলেছি খেলার সময়ে শক্ত থাকা উচিত এবং মনোবল ধরে রাখাটা ভালো।’
সফরকারী দলের অধিনায়কের পাশে থাকা লঙ্কান মিডিয়া ম্যানেজার তখনই বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা মিডিয়ার সৃষ্টি করা হাইপ। তারা বেশ ভালো বন্ধু। তারা হোটেলে দেখা করে। একসঙ্গে থাকে।’ তবে বিশ্বকাপে কতটুকু দ্বৈরথ হবে, সেটি সময়ই বলে দেবে। জুনে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৮ জুন, লঙ্কানদের বিপক্ষে।