প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫১ এএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৫ এএম
গোলের জন্য আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছিল পিএসজি। কিন্তু গোলের দেখা মিলছিল না। তবে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে আসে সুবর্ণ সুযোগ। মিলে যায় পেনাল্টি। আর পেনাল্টিটা যখন কিলিয়ান এমবাপে নিচ্ছিলেন, তখন সবাই ধরেই নিয়েছিলেন গোলটা তাহলে এবার পেয়েই যাচ্ছে ফরাসি জায়ান্ট ক্লাবটি।
কিন্তু দুর্ভাগ্য, ৩৭ মিনিটে পাওয়া সেই পেনাল্টি মিস করে বসেন এমবাপে। গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা স্ট্রাইকার। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছেন এমবাপেই। তবে খুব বেশি সময় নেননি। পেনাল্টি মিস করার কষ্টটা মাত্র তিন মিনিট হজম করতে হয়েছে এমবাপেকে। তারপরই উপহার দেন গোল!
পরে আর কোনো গোল না হওয়ায় এমবাপের এ গোল হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্যনির্ধারক। তার সেই একমাত্র জয়সূচক গোলের পুঁজিতে সেমিফাইনালে রেঁনেকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালের টিকিট কেটেছে পিএসজি।
এমবাপে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাচের ১২ মিনিটেও। উসমান দেম্বেলের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে শট নেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। সেই শট প্রতিপক্ষ রেঁনে গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী স্টিভ মান্দান্দার পায়ে লেগে বল জালে জড়াতে পারত। কিন্তু এবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট।
৩৭ মিনিটে বক্সে এমবাপেকে বাজেভাবে ট্যাকল করেন রেঁনের সেন্টারব্যাক ওয়ার্মড ওমারি। পিএসজি পেয়ে যায় পেনাল্টি। কিন্তু এমবাপের শট আটকে সবাইকে অবাক করে দেন রেঁনের ফরাসি গোলকিপার। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো পেনাল্টি মিস করলেন এমবাপে।
সেই হতাশা কাটিয়ে সেই এমবাপেই নিজ দলে হাসি ফোটান তিন মিনিট না যেতেই। অবশ্য এবার আর এমবাপেকে রুখতে পারেননি রেঁনের গোলকিপার। ফাবিয়েন রুইজের ঠেলে দেওয়া বল পেয়ে শট নেন এমবাপে। বল ওমারির গায়ে লাগলে বলের গতি পাল্টে যায়। যে কারণে মান্দান্দা শট ঠেকাতে পারেননি। বল কাঁপিয়ে দেয় রেঁনের জাল। তাতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের প্রথম লেগে আগামী সপ্তাহে বার্সেলোনার মোকাবিলা করবে পিএসজি। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে এ জয় দারুণ উৎসাহের উৎস হিসেবে কাজ করবে ফরাসিদের জন্য।
২৫ এপ্রিল ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে আসরের রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি লড়বে অলিম্পিক লিওঁর বিপক্ষে। গত মঙ্গলবার অন্য সেমিফাইনালে ভ্যালেন্সিয়েসকে ৩-০ গোলে ধরাশায়ী করে ফাইনালে নাম লেখে লিওঁ। ফাইনালে ওঠার পর পিএসজি কোচ এনরিকে বলেছেন, ‘ভালো লাগছে। এ মৌসুমে ফ্রেঞ্চ কাপ আমাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। ফাইনালটা জিততে পারলে সেটি সবার জন্যই সন্তুষ্টির হবে।’
ফরাসি লিগ ওয়ানে দ্বিতীয় ব্রেস্ত থেকে পরিষ্কার ১২ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে থাকা কোচ লুইস এনরিকের ক্লাব। ২৭ ম্যাচে পিএসজির পুঁজি এখন ৬২ পয়েন্ট। দলের পারফরম্যান্সে খুশি এ স্প্যানিশ ফুটবল গুরু, ‘লিগ এবং কাপ টুর্নামেন্টে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। সুপার কাপ জিতেছি এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে ঠিক যেখানে থাকতে চাই, সেখানেই আছি।’