প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ০০:২২ এএম
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের উইকেট উদযাপন
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই ফরম্যাটে ছয় ম্যাচের একটিতেও কোনোরকম প্রতিরোধ গড়তে পারেননি টাইগ্রেসরা। মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই ভরাডুবি হয়েছে স্বাগতিকদের। অথচ চলতি বছরই ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে নিগার সুলতানা জ্যোতি ব্রিগেড। বিশ্বকাপের আগে এমন ভরাডুবির ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার। টাইগ্রেস সহ-অধিনায়কের মতে, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলের বিপক্ষে সাদা বলের এই সিরিজকে শিক্ষা হিসেবে নিচ্ছে দল।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে অ্যালিসা হিলি (৪৭) ও তাহলিয়া ম্যাকগ্রার (৪৩*) ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান করেন অস্ট্রেলিয়ার নন্দিনীরা। জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৮.১ ওভারে মাত্র ৭৮ রানে গুটিয়ে যান বাংলার মেয়েরা। অধিনায়ক জ্যোতি (৩২) ছাড়া আর কোনো ব্যাটার বিশের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে ৭৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হার নিয়ে সিরিজ শেষ করেন লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদা বলেন, ‘ওরা (অস্ট্রেলিয়া) অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। অনেকগুলো বিশ্বকাপ জিতেছে। আমরা চেষ্টা করেছি, ওদের বিপক্ষে কীভাবে ভালো ব্যাটিং-বোলিং করা যায়। আমরা ওদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমাদের যে ঘাটতিগুলো হয়েছে, আমরা চেষ্টা করব সামনের দিনগুলোতে সেগুলো কাটিয়ে ওঠার।’
দুই দলের পার্থক্যের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে নাহিদা বলেন, ‘তারা (অস্ট্রেলিয়া) অনেক অভিজ্ঞ দল। অনেকগুলো বিশ্বকাপ জিতেছে। ওদিক থেকে তারা অনেক অভিজ্ঞ দল। আমাদের কিছু তরুণ ক্রিকেটার ছিল। আমরা তাদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমরা আশা করব, এই শিক্ষাটা যেন পরেরবার কাজে লাগাতে পারি।’
আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ঘরের মাঠে হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। গুরুত্বপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশের এই পারফরম্যান্স কতটা দুশ্চিন্তার? এমন প্রশ্নে নাহিদা বলেছেন. ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমাদের আরও খেলা আছে। ভারতের বিপক্ষে পাঁচটি ম্যাচ খেলব। আমরা চেষ্টা করব এই সিরিজে যে ঘাটতিগুলো ছিল, সেগুলো নিয়ে কাজ করার। আমরা আশা করছি, পরবর্তী সিরিজে ভালো খেলতে পারব।’
সম্প্রতি নারী ক্রিকেট ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে বোর্ড। বেতন-ভাতা বাড়ানো, বিদেশি কোচ, সিরিজের আগে দেশে-বিদেশে ট্রেনিং সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ঘরের মাঠে ভারত-পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে ভালো করলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেরিয়ে এসেছে ক্রিকেটারদের দুর্বলতা। দক্ষতার দিক থেকেও অজি ক্রিকেটারদের অনেক এগিয়ে রেখেছেন নাহিদা, ‘সন্দেহ নেই, তারা অনেক ভালো ক্রিকেটার। তাদের স্কিল অনেক ওপরে। আমাদের ব্যাটারদের মধ্যেও অনেক ভালো স্কিল আছে। আমাদের মধ্যেও সেঞ্চুরি আসছে, ফিফটি আসছে। আমরা সব সময় এটা বিশ্বাস রাখি, আমাদের যে ব্যাটাররা আছে, তারা আরও ভালো করতে পারবে।’
অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ খেলল বাংলাদেশ। সিরিজে জয়ের দেখা না পেলেও অনেক প্রাপ্তি দেখছেন বাঁহাতি এই স্পিনার, ‘আমরা ওয়ানডেটা ভালো খেলতে পারিনি। চেষ্টা ছিল টি-টোয়েন্টিতে যদি ভালো করা যায়। সেদিক থেকে যদি বলি, আমাদের জ্যোতি প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভালো একটা স্কোর করেছে। ওয়ানডেতেও একটা ভালো স্কোর ছিল। সেদিক থেকে বলব, ওর জন্য একটা ভালো অর্জন। বোলাররা ভালো করেছে। ফারিহা হ্যাটট্রিক করেছে। সবকিছু মিলিয়ে বোলারদের পারফরম্যান্স একেবারে খারাপ নয়।’