প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২৩ পিএম
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, বিসিবি’র প্রধান নির্বাচক— সংগৃহীত ছবি
নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন লিটন দাস। সাদা বলের ক্রিকেটে ওয়ানডেতে জায়গা হারানোর পর ঝুঁকিতে আছেন লাল বলের ক্রিকেটেও। এর মাঝে প্রশ্ন উঠেছে, অফ-ফর্মের লিটন কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকবেন? বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু অবশ্য এই মুহুর্তে দল নিয়ে পরীক্ষা চালাতে চান না। তবে আক্ষেপ করে বলেছেন সুযোগ কাজে লাগানো উচিত খেলোয়াড়দের। অভিজ্ঞদের থেকে আরও দায়িত্ববোধ চান প্রধান নির্বাচক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ চলাকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি বলেছিলেন, ‘লিটনের বিশ্রাম দরকার। তাকে তাই বাদ দেওয়া হয়েছে।’ তবে দৃষ্টিকটু শটস খেলে আউট হওয়া লিটনের পক্ষেই থাকছেন প্রধান নির্বাচক। বিসিবি বসের কথার সঙ্গেও একমত নন লিপু। বিশ্বকাপ কিংবা জুনে বসা বিশ্ব আসরের আগের সিরিজগুলোতেও তাই সুযোগ পেতে পারেন লিটন, ‘প্রেসিডেন্ট (পাপন) কি বলছেন সেটা তার ব্যাপার। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত বিকল্প নেই। এবারের বিশ্বকাপে দল নিয়ে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয়। আমরা লিটনকে আরো একটা সুযোগ দিয়েছিলাম চট্টগ্রামে। ক্রিকেটারদের নিজেদের রিয়ালাইজেশন আসা উচিত।’
ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপে নতুন খেলোয়াড় দলে আনা, ব্যাটিং লাইন আপে পরিবর্তন কিংবা নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাঝ দিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সেটি চায় না বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর বিশেষত ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা হচ্ছে বেশি। প্রশ্ন উঠছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মান নিয়েও। তবে লিপু কিছুটা অখুশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিবেদন নিয়ে।
গতকাল শুক্রবার মিরপুরে টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির বিষয়টি সামনে এনে লিপু বলেছেন, ‘অভিজ্ঞরা যদি অভিজ্ঞতার আলোকে ক্রিকেট খেলতে না পারে তাহলে দল বেশিদূর এগোতে পারে না। আমাদের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের ইনিংসটাই (চট্টগ্রাম টেস্টে) বড় হতে পারত। আমাদের একটা আক্ষেপ যে মুমিনুল একটা অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসে। সাকিবও নিজেকে সুসংহত করতে পেরেছিলেন। লিটন দাসও যে জায়গায় চলে গিয়েছিলেন সেখান থেকে ইনিংসটা বড় করা বা তিন অঙ্কে পৌছে যাওয়াটা অসম্ভব কিছু ছিল না।’
লঙ্কানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার কারণও খুঁজে পেয়েছেন লিপু। তার দাবি, বাইরে টেস্ট খেলার প্রস্তুতির জন্য স্পোর্টিং উইকেটে খেলেছে বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের কাছে তার আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল, ‘টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেটে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা হতাশ। আমাদের আশা ছিল যে, দল আরও ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ফলাফল যে আমাদের পক্ষে আসতে হবে এমন কোনো কথা ছিল না। আগেই বলেছি যে, যথেষ্ট স্পোর্টিং উইকেটে খেলার চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশের পাশাপাশি বাইরের দেশে গিয়েও খেলতে হবে। নিজেদের সক্ষমতা, দূর্বলতা বিচার করার জন্য বিসিবি এই ধরণের ভেন্যু, উইকেটের ব্যবস্থা করেছে। এতে হয়তো আমরা কিছুটা আশাহত কিন্তু আমাদের দূর্বলতার জায়গাগুলো ফুটে উঠেছে।’