প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:০২ পিএম
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:০৮ পিএম
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নবম রাউন্ডে শনিবার গাজী টায়ার্সকে গুঁড়িয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন আবু হায়দার। ছবি : সংগৃহীত
ইনিংসের দৈর্ঘ্য তখন মোটে ১২ ওভার। স্কোরবোর্ডে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির রান স্রেফ ৪০! খেলার এ সময় গাজীর শেষ উইকেটটা তুলে নেন পেসার আবু হায়দার রনি। এ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে নিজের নামের পাশে ৭ উইকেট যোগ করেন বাঁহাতি এ পেসার। ৫০ ওভারের ম্যাচটা পরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব জিতেছে কেবল ৩৮ বল খেলে। উইকেট হারিয়েছে একটি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নবম রাউন্ডে শনিবার গাজী টায়ার্সকে গুঁড়িয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন আবু হায়দার। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শনিবার মোহামেডানেরর অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ২০ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট। দলটির দুই বোলার আবু হায়দার ও নাসুম আহমেদ ছাড়া আর কাউকে বোলিং করতে হয়নি। আবু হায়দারের সমান ৬ ওভারে সমান রান খরচায় ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম।
সব মিলিয়ে এদিন ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ হয় ১৮.২ ওভারেই। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এক ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার আবু হায়দার। ২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপের পেসার ইয়াসিন আরাফাত। এ ছাড়া ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৭ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। ২০১৬ সালে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫৮ রানে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন আবাহনীর বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিব।
দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে গাজী টায়ার্সের চেয়ে কম রানের গুটিয়ে যাওয়ার নজির আছে দুটি। ২০০২ সালের জাতীয় ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ৩০ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম বিভাগ। ২০১৩ সালে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে ৩৫ রানে অলআউট করে আবাহনী।
একটি জায়গায় অবশ্য আজ রেকর্ড গড়ে ফেলেছে গাজী টায়ার্স। এই সংস্করণে বাংলাদেশের কোনো দলের সংক্ষিপ্ততম ইনিংস তাদের। এদিন টস জিতে ব্যাটিং নিয়েই যেন নিজেদের বিপদ ডেকে আনে গাজী টায়ার্স। দ্বিতীয় ওভারে আশিকুর রহমানকে আউট করে প্রথম ধাক্কা দেন আবু হায়দার। একই ওভারে ইফতেখার হোসেনকে ফেরান তিনি। পরের ওভারেও নেন ২ উইকেট। অষ্টম ওভারে আশরাফুল আলমের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ৩ রানে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ৫ উইকেট পূর্ণ করেন আবু হায়দার।
অন্য প্রান্তে নাসুমও ৩ উইকেট নিলে পাওয়ার প্লের মধ্যে ২৩ রানে ৮ উইকেট হারায় গাজী টায়ার্স। তখনও তারা ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের চেয়েও কমে অলআউট হওয়ার শঙ্কায়। ইফতেখার সাজ্জাদের ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংসে দলকে ৪০ পর্যন্ত নিয়ে যান। দ্বাদশ ওভারে ইকবালের আগে সাজ্জাদকেও এলবিডব্লিউ করেন আবু হায়দার।
মামুলী লক্ষ্য তাড়ায় ৬.২ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় মোহামেডান। দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই সবচেয়ে বেশি বল (২৬২) বাকি থাকতে জয়ের রেকর্ড। ২০০২ সালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২৬১ বল বাকি থাকতে জেতে সিলেট। অবধারিতভাবে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি জুটেছে আবু হায়দারের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
গাজী টায়ার্স : ১২ ওভারে ৪০ (ইফতেখার সাজ্জাদ ১৬, আরিদুল ৪*; নাসুম ৩/২০, আবু হায়দার ৭/২০)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব : ৬.২ ওভারে ৪১/১ (ইমরুল ১৯*, রনি ১২; আরিদুল ১/৪)
ফল : মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৯ উইকেটে জয়ী