প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩৮ পিএম
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৪০ পিএম
মেরিনার্সে খেলোয়াড়দের গোলের উল্লাস
হারের মুখ থেকে বাঁচতে কত কিছুই না করল আবাহনী। জয়সূচক গোল না হোক, সমতাসূচক গোলটা যেন অন্তত মেলে। এজন্য শেষ দিকে গোল পেতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালাল আকাশি-নীলরা। এমনকি আক্রমণের ধার বাড়াতে গোলরক্ষককে তোলে ওপরের দিকে। কিন্তু তাতে লাভ বলতে কিছুই হলো না। শেষ হাসি হাসল মেরিনার ইয়াংস ক্লাবই। মেরিনার্সের কাছে ফের হারের তেতো স্বাদই হজম করল আবাহনী।
আজ রবিবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে আবাহনীকে ২-১ গোলে ধরাশায়ী করেছে মেরিনার্স। প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের প্রথম পর্বে দুদলের দেখায়ও একই ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল শিরোপাধারীরা।
এ নিয়ে হকি লিগের সুপার সিক্সে টানা জয়ের মুখ দেখল মেরিনার্স। ঊষা ক্রীড়া চক্রকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে সুপার সিক্সে শুভ সূচনা করেছিল তারা। অন্যদিকে বাংলাদেশ পুলিশকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সুপার সিক্স শুরু করেছিল আবাহনী। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই দেখল হার।
সব মিলিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মেরিনার্সের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ হারল ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী। এর আগে ক্লাব কাপের ফাইনালে ও চলতি লিগের প্রথম পর্বে হার মেনেছিল তারা।
দুই জায়ান্টের ম্যাচে ডেডলক ভাঙে ২০তম মিনিটে। পেনাল্টি কর্নার থেকে মেরিনার্সকে লিড এনে দেন সোহানুর রহমান সবুজ। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই গোল ব্যবধান ডাবল করে নেয় তারা। ম্যাচের ২৬তম মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে নির্ভুল নিশানায় গোল করেন ফজলে হোসেন রাব্বী।
একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া আবাহনী খেলায় ফেরার সুযোগ পেয়ে যায় ৩৩তম মিনিটে। ভারতীয় খেলোয়াড় শিশে গাওয়াদ পেনাল্টি কর্নার থেকে নিখুঁত হিটে কাঁপিয়ে দেন প্রতিপক্ষের জাল। সমতায় ফিরতে গোলের জন্য শেষের দিকে আপ্রাণ চেষ্টা করেও পেরে ওঠেনি আবাহনী।
চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারের শেষ ভাগে গোলরক্ষক সজীবুর রহমানকে তুলে আক্রমণভাগে বাড়িয়ে নিয়েছিল আবাহনী। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মেরিনার্সের দুর্ভেদ্য রক্ষণ দেয়াল ভেঙে সমতাসূচক গোল ছিনিয়ে নিতে পারেননি তারা।
অন্য ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে জয়ের দেখা পেয়েছে ঊষা ক্রীড়া চক্র। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে অ্যাজাক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে পুরান ঢাকার দলটি। ভারতীয় রিক্রুট ইশরাত ইকতিদারের জোড়া গোলে এ জয় তুলে নেয় ঊষা। ম্যাচের জয়সূচক গোলটি আসে একবারে শেষমুহূর্তে। খেলা শেষের বাঁশি বাঁজানোর ঠিক এক মিনিট আগে।
হারলেও ম্যাচে দারুণ খেলেছে অ্যাজাক্স। গোলের সহজ কিছু সুযোগও তৈরি করেছিল দলটি। আগে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু ইকতিদারের পারফরম্যান্সের কাছে পরাস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট হারিয়েছে অ্যাজাক্স।
খেলার প্রথম কোয়ার্টারেই গোল পায় অ্যাজাক্স। ১২ মিনিটে জাসম্যান মান্ডার ফিল্ড গোলে শুরুতে এগিয়ে যায় অ্যাজাক্স। ৪৬ মিনিটে ইকতিদারের ফিল্ড গোলে খেলায় সমতায় ফেরে ঊষা। ৫৯ মিনিটে ইকতিদার ঊষাকে জয়সূচক গোলটি উপহার দেন।
খেলায় অ্যাজাক্সের হয়ে এক গোল শোধ করেন ভারতের জাসম্যান মান্ডা। এই জয়ে ১২ খেলায় ২৮ পয়েন্ট ঊষার। সমান সংখ্যক ম্যাচে অ্যাজাক্সের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট।