প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩০ পিএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৬ পিএম
ষোলআনা ঠিক থাকলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে জোফরা আর্চারকে
গতি, সুইং, ক্ষিপ্রতা—‘কমপ্লিট ফাস্ট বোলার’ বলতে যা বোঝায়, জোফরা আর্চার তা-ই। অথচ পেসারদের বড় যে ‘দুশ্চিন্তা’, সে ইনজুরিকেই পরম সঙ্গী করেছেন তিনি। আর্চার এক বছরেরও বেশি সময় পেশাদার ক্রিকেটের বাইরে। ২০২৩ সালের মে থেকে চলতি এপ্রিল—প্রতিটি মুহূর্তে লড়ছেন ফেরার তাড়নায়। আশার দিক, ক্রিকেটের সবুজ আঙিনায় ফিরছেন ইংল্যান্ড গতি দানব।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, আগামী মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরছেন আর্চার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যই তাকে প্রস্তুত করতে চাচ্ছে ইসিবি। আশা করা যাচ্ছে, নবম বিশ্বকাপের ইংলিশ স্কোয়াডে থাকছেন আর্চার। ১ মে আইসিসি বরাবর খেলোয়াড় তালিকা পাঠানো হলে বিষয়টি স্পষ্টতা পাবে।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে। কিংস্টন ওভাল বার্বাডোজ স্টেডিয়ামে ৪ জুন হবে ম্যাচটি। পরের ম্যাচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচটিও একই ভ্যানু-ওভালে। আর্চারের জন্ম-বেড়ে ওঠা বার্বাডোজে। জানাশোনা পরিবেশ-পরিস্থিতি। সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সফরেও দলের সঙ্গে ছিলেন। অনুশীলন করেছেন। চেখে দেখেছেন মাটি। তবে নিজ জন্মস্থানে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি। হাতছোঁয়া দূরত্বে সে সুযোগ। দিচ্ছে হাতছানি।
সম্প্রতি দ্য অ্যাথলেটস ভয়েজ বাই ফোরকাস্টের এক সাক্ষাৎকারে আর্চার বলেছেন নিজের জীবনের গল্প। প্রত্যাশা -উচ্চাশা এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বদেশে খেলার কথা। ২৯-বর্ষী ডানহাতি এই পেসার বলেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমি দেশের মাঠে খেলতে প্রস্তুত। আমি আমার পরিবারকে ভালোবাসি। ছোটবেলায় প্রথম খেলার সাথি কুকুরটাকেও। বার্বাডোজের মাঠকেও নিশ্চয়ই।’
গেল মাসে সাসেক্সের পাক প্রস্তুতি সেশনে অংশ নেন আর্চার। সেশন শেষে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কে জানিয়েছেন, ‘শিগগিরই রিহ্যাব থেকে ফিরবেন আর্চার এবং এই গ্রীষ্মে টেস্ট খেলবেন।’ আর্চারও বলেছেন, ‘আমি যদি সত্যিই সেরে উঠি, এটি আনন্দের। যদিও নাও ফিরতে পারি। তারা আমাকে সাপোর্ট দিয়ে যাবে ততক্ষণই, যতক্ষণ না আমি পূর্ণ প্রস্তুত হই।’
নিজের জন্মভূমিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলতে উদগ্রীব আর্চার। সেটি তার কথায় স্পষ্ট। তবে দুই বছর মাঠের বাইরে থাকা। মানসিক ভঙ্গুরতা কিছুটা হলেও পোড়াচ্ছে তাকে। গেল বছর জানুয়ারি ও মে মাসে খেলেছি। এরপর ইনজুরির রোষানলে আর খেলা হয়নি। এ সময়টুকুতে লড়াই করে গেছি ফেরার জন্য। তারপরও বিশ্বকাপে ফিরতে মরিয়া। যদি কোনো কারণে ফিরতে নাও পারি। তবুও আমি প্রস্তুত থাকব।
নিজের প্রস্তুতির পাশাপাশি আর্চারের যুদ্ধ চলছে পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গেও। সামাজিকমাধ্যমে ব্যক্তিগত কিংবা অনুশীলনের পোস্ট শেয়ার করা মাত্রই বাজে মন্তব্যের শিকার হতে হয়। বিষয়টি নিয়ে তিতিবিরক্ত আর্চার, ‘এখনও অনুশীলনের কোনো পোস্ট করা হলেই একদল বলা শুরু করবে সে (আর্চার) আগামীকাল চোট পাবে। এগুলো স্টুপিড মন্তব্য।’