প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১৭ পিএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩০ পিএম
জয়ের নায়ক রুডিগারকে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের উল্লাস
আন্তোনিও রুডিগার রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের নায়ক। এ জার্মান সেন্টারব্যাকই স্প্যানিশ জায়ান্টদের পৌঁছে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে। কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হেরে ম্যানচেস্টার সিটি ভুগছে এখন স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায়।
আর্লিং হালান্ড ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। কেভিন ডি ব্রুইনে, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রিলিশরা আলো ছড়ালেও ফিরতি লেগের নির্ধারিত সময়ের খেলা অমীমাংসিত থেকে যায় ১-১ গোলে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-৩ গোলের সমতা নিয়ে ম্যানচেস্টার সফরে গিয়েছিল রিয়াল। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোর লেভেল হয়ে যায় ৪-৪ গোলে। এ কারণে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেই পেনাল্টি শুটআউটেই বাজিমাত করে রিয়াল।
জয়ের পর আনচেলত্তি তাই বলেছেন, ‘সবাই ভেবেছিল আমরা শেষ, কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ কখনো মরে না। এই জার্সি, এই ব্যাজ- এটিই কিছু একটা বের করে আনে ভেতর থেকে। কেউ যা ভাবতে পারে না, তেমন কিছুই করে দেখায় এই ক্লাব।’
আনচেলত্তি জানতেন, ইতিহাদে জয় পেতে হলে নিজেদের রক্ষণ দুর্গ অটুট রেখে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। রদ্রিগো, লুনিন আর রুডিগাররা সেটাই করেছেন। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি জানালেন তেমনটা, ‘এখান (ইতিহাদ) থেকে বেঁচে ফেরার একটাই উপায় ছিল—সুযোগের সদ্ব্যবহার করা। আমরা সেটা করেছি। এরপর রক্ষণভাগ ভালোভাবে সামলেছি। সিটির বিপক্ষে এটা ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না।’
ম্যাচের ভাগ্য টাইব্রেকারে গড়াতেই আনচেলত্তি বুঝে যান। শেষ চারের টিকিট তারাই পাচ্ছেন, 'টাইব্রেকারে বুঝে গিয়েছিলাম যে আমরাই যাচ্ছি (সেমিফাইনালে)। আন্দ্রে লুনিন দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছে।’
সিটিকে তাদেরই মাঠে হারানোর অনুভূতিটা প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন আনচেলত্তির শিষ্য নাচো। রিয়ালের এডিফেন্ডার বলেন, ‘এসব জাদুকরী রাত, ছোট বেলায় যে রাতগুলোর স্বপ্ন দেখতাম। গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে!’
ফাইনালে উঠতে সেমিতে রিয়াল মাঠে লড়াইয়ে মোকাবিলা করবে বায়ার্ন মিউনিখকে।