প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৬:০২ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৭:০৮ পিএম
চলতি মাসেই বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ। ছবি : সংগৃহীত
বৈশ্বিক মার্কেটে হারাচ্ছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক ব্যাংকের পতনে
প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে তৈরি হয়েছে আস্থার সংকট। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি
বিটকয়েনকেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। এর ছাপ পড়েছে বিটকয়েনের দামেও।
যেখানে আর্থিক খাতে মন্দাভাব বিরাজ করছে, সেখানে চলতি মাসেই বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ। কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্যমতে সোমবার (২০ মার্চ) বিটকয়েনের দাম ২৮ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সির এ ফ্ল্যাগশিপ মুদ্রাটির মার্কেট ক্যাপ ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সব মিলিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির মার্কেট ক্যাপ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ বিলিয়ন ডলার।
পাশাপাশি একই সময়ে সোনার দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ।
এদিকে বিটকয়েনের
দাম বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে অন্যান্য প্রধান ক্রিপ্টোকারেন্সির দামও। যারা এখন এতে বিনিয়োগ
করছেন তারা লাভবানও হচ্ছেন। ইথারিয়ামের দাম সম্প্রতি ১ হাজার ৮০০ ডলার অতিক্রম
করেছে। যদিও সিলভারগেট ব্যাংকের পতনে স্ট্যাবল কয়েন ইউএসডিসি নিয়ে সংকটের শঙ্কা দেখা
দিয়েছিল। তা প্রায় কেটে গেছে। ফলে ক্রিপ্টো মার্কেটে ইউএসডিসি সংকট খুব একটা স্থায়ী
হয়নি।
এদিকে ব্যাংকগুলো
দেউলিয়া হওয়ায় শত শত বিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকদের
জরুরি ব্যবস্থা জারি করতে হচ্ছে। গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের প্রতিজ্ঞা সৃষ্টি করেছে মুদ্রাস্ফীতির
হুমকি।
ফলে সব মিলিয়ে
গ্রাহকদের মন এখন ডিফাইতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে এবং সেখানেই তারা নিজেদের নিরাপদ ভাবছেন।
ডিফাইয়ের পূর্ণরূপ ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্স। যেখানে নিজের অর্থ একজন গ্রাহকের নিজের
কাছেই নিরাপদে থাকবে। কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা থাকবে না।
ডিজিটাল সম্পদ
বিনিয়োগ ব্যবস্থাপক ওয়েভ ডিজিটাল অ্যাসেটসের ডিফাই বিভাগের প্রধান হেনরি এল্ডার বলেছেন,
‘আমরা বিটকয়েনকে মূলধারায় প্রত্যাবর্তন দেখতে পাচ্ছি। কারণ এটি সেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্সের
অস্বচ্ছতা ও হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত।’
ডিফাই প্ল্যাটফর্মের
সঙ্গে যুক্ত টোকেনের মূল্য এক সপ্তাহের মধ্যে ৪৩ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৪৯ বিলিয়ন ডলার
হয়ে গেছে। এ ছাড়া সবশেষ দুবাইতে হয়ে যাওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি কনফারেন্সে প্রাধান্য পেয়েছে
ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্স। একই সঙ্গে বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া মোবাইল ওয়ার্ল্ড
কংগ্রেসেও এবার প্রাধান্য পেয়েছে ডিফাই।
ফলে নিকট ভবিষ্যতে
যে বিটকয়েনের দাম আরও বাড়বে তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।
বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক এমন পরিস্থিতি সমাধানেরই স্বপ্ন দেখেছিলেন বিটকয়েনের স্রষ্টা সাতোশি নাকামোতো। যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করবে বিটকয়েন। বৈশ্বিকভাবে এখন হচ্ছেও তাই।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন