× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মারা গেছেন ইন্টেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা গর্ডন মুর

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৯ পিএম

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৩:৫৮ পিএম

ইন্টেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা গর্ডন মুর। ছবি : সংগৃহীত

ইন্টেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা গর্ডন মুর। ছবি : সংগৃহীত

ইন্টেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিলিকন ভ্যালির পথপ্রদর্শক প্রভাবশালী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা গর্ডন মুর ৯৪ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে মারা গেছেন। ইন্টেলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলা হয়েছে। এ ছাড়া শনিবার (২৫ মার্চ) ইন্টেলের অফিসিয়াল টুইটার পেজেও গর্ডন মুরের মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়েছে।  

তবে ইনটেলের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।

কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট গেলসিঞ্জার বলেছেন, ‘গর্ডন মুর তার অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে প্রযুক্তি শিল্পকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন এবং কয়েক দশক ধরে প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। তিনি এমন একটি উত্তরাধিকার (ইনটেল করপোরেশন) রেখে গেছেন, যা গ্রহের প্রতিটি মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। তার স্মৃতি বেঁচে থাকবে।’

তিনি ছিলেন ফেয়ার চাইল্ড সেমি কন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠাকারী আটজনের একজন, যা পরবর্তিতে সিলিকন ভ্যালির এএমডিসহ আরও অনেক বড় বড় কোম্পানির ইনকিউবেটর হয়ে ওঠে।


মুর ও রবার্ট নয়েসসহ মোট আটজন মিলে ১৯৬৮ সালে ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিকস (ইন্টেল) প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান বিশ্বে প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রো প্রসেসর তৈরি ও গবেষণায় সবচেয়ে অগ্রগামী হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৭৯ সালে তিনি কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হন। পরে সিইও পদে তিনি টানা ৮ বছর দায়িত্ব পালন করেন।

যদিও জীবনের শেষ সময়ে প্রযুক্তির জগৎ ছেড়ে জনহিতকর কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন গর্ডন মুর। তার সহধর্মিণী বেটিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘গর্ডন অ্যান্ড বেটি মুর ফাউন্ডেশন’। তার প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনটি জলবায়ু ও পরিবেশসংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে কাজ করে।

আমাজন নদীর অববাহিকা রক্ষার ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছেন গর্ডন মুর। 

তার মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে গর্ডন অ্যান্ড বেটি মুর ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট হার্ভে ফাইনবার্গ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যারা গর্ডনের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সাক্ষাৎ করেছেন। তারা চিরকাল গর্ডনের প্রজ্ঞা, নম্রতা ও উদারতার দ্বারা অনুপ্রাণিত হবেন।’

২০০২ সালে প্রযুক্তিখাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘মেডেল অব ফ্রিডম’ পেয়েছিলেন।  ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার হিস্টোরি মিউজিয়ামের ফেলো নির্বাচিত হন। এ ছাড়া আইইইই মেডেল অব অনার, জন ফ্রিতজ মেডেল, ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজিসহ কাজের বহু স্বীকৃতি পেয়েছেন জীবনে।

গর্ডন মুর জন্মেছিলেন ১৯২৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যানফ্রান্সিসকোতে। স্নাতক পড়াশোনা করেছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় এবং পিএইচডি করেছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে। ইন্টেলের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি মুর’স ল’য়ের জন্য পরিচিত। যেখানে তিনি কম্পিউটারের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। 

সূত্র : দ্য ভার্জ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা