প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩ ১৪:৪৩ পিএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ১৫:৪৫ পিএম
নিউরালিঙ্কের প্রেজেন্টেশনে ইলন মাস্ক। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে। ছবি : সংগৃহীত
ইলন মাস্কের চিকিৎসা-বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি নিউরালিঙ্ক মানুষের মস্তিষ্কে যন্ত্র প্রতিস্থাপনের ট্রায়াল শুরুর অনুমতি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এ অনুমতি দিয়েছে। এটাকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এক টুইটবার্তায় মাস্কের কোম্পানি জানায়, আমাদের নিউরালিঙ্ক টিম দুর্দান্ত কাজ করেছে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে এফডিএরও সহযোগিতা ছিল। নিউরালিঙ্ক এমন এক কাজ করেছে, যেখান থেকে আগামীতে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপকৃত হবে।
তবে কবে নাগাদ তারা মানুষের মস্তিষ্কে যন্ত্র প্রতিস্থাপনের ট্রায়াল শুরু করবে, তা জানায়নি নিউরালিঙ্ক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, নিউরালিঙ্কের প্রযুক্তির সহায়তায় অন্য কিছুর মধ্যে পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ সেরে উঠবে ও অন্ধ মানুষ দৃষ্টি ফিরে পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি ইতোমধ্যে পশুপাখির ওপর বড় ধরনের নানা মাত্রায় ট্রায়াল শেষ করেছে। এসব ট্রায়ালে দেড় হাজারের মতো ভেড়া, শূকর ও বানর হত্যা করা হয়েছে।
এটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের বিতর্ক ওঠে। দেশটির কৃষি বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এসব পশু হত্যায় দেশটির অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাক্ট লঙ্ঘন হয়েছে কি না তা তদন্ত করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালের মার্চে কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো এফডিএ’র কাছে মানুষের মস্তিষ্কে যন্ত্র প্রতিস্থাপনের অনুমতির জন্য আবেদন করে। কিন্তু তখন তা বাতিল হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিউরালিঙ্কের লিথিয়ামের ব্যাটারি নিয়েই বড় শঙ্কা ছিল। এটা মস্তিষ্কে গিয়ে একটা যন্ত্র স্থাপন করে আবার বেরিয়ে আসবে। কিন্তু তা কতটা নিরাপদে সম্ভব হবে, এ নিয়ে নানা বিতর্ক চলছিল।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা নিউরালিঙ্কের যন্ত্র মানুষের ওপর ট্রায়াল শুরুর অনুমতি দিতে অনুরোধ জানান। তাদের অনুরোধের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি মাস্কের এ প্রতিষ্ঠান অনুমোদনটি পেল।
এর আগে নিজের কোম্পানির মস্তিষ্কে যন্ত্র প্রতিস্থাপনের সফলতা নিয়ে অন্তত চারবার প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন মাস্ক। গত বছরের শেষের দিকে নিজের সন্তানদের মস্তিষ্কেও যন্ত্র বসানোর ঘোষণা দেন টুইটারের মালিক।
মাস্কের নিউরালিঙ্ক প্রযুক্তি অন্ধত্ব, পক্ষঘাত, স্থূলতা, অটিজম, বিষণ্নতা, সিজোফ্রেনিয়া ইত্যাদির চিকিৎসার পাশাপাশি সুস্থ মানুষও ব্যবহার করতে পারবেন।
সুস্থ মানুষের মধ্যে এ প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তি কী চিন্তা করছে, তার অনুভূতি কী তা জানতে পারবে। এ বিষয়টা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সূত্র : গার্ডিয়ান