প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৯:৪৩ পিএম
ডিজিটাল সেবায় বিটিআরসির একীভূত লাইসেন্স পেল বাংলালিংক
মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের অনুকূলে একীভূত লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস এই লাইসেন্স গ্রহণ করেন।
এর আগে গত ১১ মার্চ ফাইভজিসহ পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিগত সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে অপর তিন মোবাইল অপারেটর- গ্রামীণফোন লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুকূলে একীভূত লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়। এই লাইসেন্সের মেয়াদ ১৫ বছর।
বিটিআরসি জানায়, এতে আগের টু জি, থ্রি জি এবং ফোর জি প্রযুক্তি এবং তরঙ্গ ফির জন্য আলাদা লাইসেন্স ও নির্দেশিকার পরিবর্তে সব বিষয়কে এক লাইসেন্সের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন লাইসেন্সে ফাইভ জির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত অ্যাকসেস তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ব্যাকহল ফাইবারের পাশাপাশি পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, রোল আউট বাধ্যবাধকতা, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তাসহ পরিবর্তিত প্রযুক্তিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার মো: আমিনুল হক, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান জুয়েল , ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু, সচিব (বিটিআরসি) মো. নূরুল হাফিজ, পরিচালক (লাইসেন্সিং) সাজেদা পারভীন, পরিচালক (রেডিও কমিউনিকেশন স্ট্যাডি এন্ড রিসার্চ) ড. মো. সোহেল রানা, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমানসহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো দেশে টু জি লাইসেন্স নামে বাণিজ্যিকভিত্তিতে সেলুলার মোবাইল সেবা সংক্রান্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়, যা ২০১১ সালে ১৫ বছরের জন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা ছিল। ২০১৩ সালে চার মোবাইল অপারেটরকে ২০২৮ সাল মেয়াদ পর্যন্ত থ্রি জি লাইসেন্স দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত চার অপারেটরের অনুকূলে ফোরজি লাইসেন্স দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই সব লাইসেন্সের আওতায় দেশে সেলুলার মোবাইল সেবা দিচ্ছে অপারেটরগুলো।
বিটিআরসি আরও জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফাইভ জি প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং অধিক নির্ভরযোগ্য ও নিম্নতর বিলম্বের নেটওয়ার্কে প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় নিয়ে বহুমুখী সেবার বাণিজ্যিক বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এ প্রযুক্তির সেবা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৩ গিগাহার্জ, ২ দশমিক ৬ গিগাহার্জ ও ৩ দশমিক ৫ গিগাহার্জ ব্যান্ড তরঙ্গ নির্বাচন করা হয়েছে। গত বছর ৩১ মার্চ ২ দশমিক ৩ গিগাহার্জ ব্যান্ড হতে ৭০ মেগাহার্জ এবং ২ দশমিক ৬ গিগাহার্জ ব্যান্ড হতে ১২০ মেগাহার্জ তরঙ্গ চারটি মোবাইল অপারেটরের অনুকূলে নিলামের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করা হয়, যা বর্তমানে ফোরজি সেবায় ব্যবহৃত হচ্ছে।