সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫৫ পিএম
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:১০ পিএম
বাংলাদেশে আসা ইউরোপীয় তিন বন্ধু। প্রবা ফটো
বেরিয়েছেন তারা বিশ্ব ভ্রমণে। তাও আবার মোটরসাইকেলে। ভারত ঘুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দুই বন্ধু আন্দ্রেয়া ও এলিনা প্রবেশ করেন বাংলাদেশে। পরে তাদের আহ্বানে ৯৭টি দেশ পাড়ি দিয়ে ভারতের বোম্বাই স্থলবন্দর হয়ে তাদের সঙ্গে সাতক্ষীরায় মিলিত হন তাদের আরেক বন্ধু, ইতালিয়ান নাগরিক ইলেরিও লায়ন্স।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সাতক্ষীরা এসে তিন বন্ধু মিলিত হন। বর্তমানে তারা সাতক্ষীরা শহরের ‘ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার কার্যালায়ে অবস্থান করছেন।
ইলেরিও লায়ন্স প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি গত পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করছি। ভারতসহ ৯৭টি দেশ ভ্রমণ শেষে আমার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেলে চড়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করেছি।’
ইলেরিও ও তার বন্ধুরা বিভিন্ন দেশ ও সেসব দেশের সংস্কৃতি বিষয়ে জানতে চান। এ জন্যই নিজস্ব বাহন মোটরসাইকেলে ভ্রমণ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলে জানান। বাংলাদেশে তিন-চার সপ্তাহ থাকবেন। এরপর তিনি আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে ভ্রমণ করবেন বলে জানান ইলেরিও। বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতিকে নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন তিনি।
এক মাস আগে ইতালি থেকে রওনা দেন আন্দ্রেয়া। ৭ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ মোটরসাইকেলে পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা পৌঁছান তিনি। তার চার দিন আগে ২৯ জানুয়ারি ২৯টি দেশ পেরিয়ে সাতক্ষীরার মাটিতে পা রেখেছেন রোমানিয়ার তরুণী এলেনা। এলেনা পর্যটক।
তিনি বলেন, পুরো বিশ্বটা একবার ঘুরে দেখার আগ্রহ তার। এ পর্যন্ত ২৯টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। সব শেষ ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশের সংস্কৃতি তাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি এদেশে কিছু করার বিষয়ে ভাবছেন।
আন্দ্রেয়া জানান, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের কাকলি নামে একটি অসহায় মেয়েকে শিক্ষা সহায়তা করতেন তিনি। মূলত কাকলিকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশে আসা। এ ছাড়া ঋশিল্পী অনলুসের একটি প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। তার আহ্বানে তার আরেক বন্ধু রোমানিয়ান এলেনা ও ইলেরিও লায়ন্স বাংলাদেশে এসেছেন।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি তার খুব ভালো লেগেছে এখানকার মানুষের আথিতেয়তায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন, জীবনে কখনো সুযোগ পেলে আবারও আসবেন বলে জানান আন্দ্রেয়া।
সাতক্ষীরা ঋশিল্পী অনলুস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ম্যানেজার আল মামুন হোসেন বলেন, ‘সাতক্ষীরায় কাকলি নামে একটি মেয়েকে লেখাপড়ার জন্য সহযোগিতা করতেন আন্দ্রেয়া। মূলত কাকলিকে উপলক্ষ্য করে এক মাস আগে সাতক্ষীরায় আসেন ইতালির নাগরিক আন্দ্রেয়া। এরপর আন্দ্রেয়ার আহ্বানে তার বন্ধু রোমানিয়া নাগরিক এলেনা ও ইতালির ইলেরিও লায়ন্স সাতক্ষীরায় এসেছেন।’