বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ২০:১২ পিএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৯ পিএম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘সাস্ট অলীক’–এর চার সদস্য। সংগৃহীত।
অর্থসংকটে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল ‘সাস্ট অলীক’ ও ‘মহাকাশ’–এর নাসাযাত্রা। অবশেষে সেই অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে গেছে। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণে ঋণ করে নাসায় যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা’য় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এই দুই দল।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন ‘সাস্ট অলীক’-এর সদস্য এসএম
রাফি আদনান। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা নিজেরা ঋণ
করে ১২ মার্চ রাতের টিকিট বুকিং দিয়েছি। ‘মহাকাশ’ দলের সদস্যদেরও
বুকিং হয়ে গিয়েছে। আমরা যাচ্ছি,
এটা
নিশ্চিত।’
যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি কমিউনিটির পক্ষ থেকে
তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা চলছে বলে জানান অলীক দলের এই সদস্য।
‘সাস্ট অলীক’ নাসা স্পেস অ্যাপস
চ্যালেঞ্জ–২০১৮ প্রতিযোগিতায় ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ
থেকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। তার পরের বছর নাসা থেকে
আমন্ত্রণ জানানো হয় ‘সাস্ট অলীক’ দলের সদস্যদের। তবে সে বছর ভিসা জটিলতায় নাসার আমন্ত্রণে যেতে
পারেননি তারা। সে সময় অবশ্য প্রতিযোগীরা নাসার অনুষ্ঠানে যেতে না পারলেও আইসিটি ডিভিশন
থেকে ছয়জন এবং বেসিস থেকে একজন গিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।
গত বছরের ২ ডিসেম্বর আবারও নাসা থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ‘সাস্ট অলীক’ দলের সদস্যদের।
এতে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করে আমেরিকার ভিসা পেলেও আর্থিক সংকটের কারণে এবারও অনিশ্চিত
হয়ে পড়েছিল তাদের নাসাযাত্রা। অবশেষে সেই অনিশ্চয়তাকে দূরে ঠেলে স্বপ্নের পথে
হাঁটলেন তারা। নাসা আমন্ত্রিত এই অনুষ্ঠান ১৫ এবং ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
‘সাস্ট অলীক’ দলের সদস্যরা হলেন শাবিপ্রবির
জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাবিক মাহদি, কাজী মইনুল ইসলাম, সাব্বির হাসান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এসএম রাফি আদনান এবং
অলীক দলের মেন্টর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ থেকে ২০২১ সালের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির দল ‘মহাকাশ’–এর সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানায় নাসা। সাস্ট অলীকের মতো এই দলের সদস্যদেরও আর্থিক সংকটে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল নাসায় যাওয়া। অবশেষে নাসার আমন্ত্রণে অংশ নিতে যাচ্ছেন তারাও।
‘মহাকাশ’ দলের সদস্যরা হলেন, শিক্ষার্থী বর্ণিতা বসাক তৃষা, শিশির কৈরী, মমিনুল হক এবং সুমিত চন্দ্র।
নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন ‘সাস্ট অলীক’ নাসার তথ্যউপাত্ত ব্যবহার করে ‘লুনার ভিআর’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছিল। অ্যাপটির মাধ্যমে নাসার অ্যাপোলো-১১ অভিযান, মহাকাশ যানটির অবতরণ এলাকা, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা ও চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আবর্তন করা যায়।